কবিতার কালিমাটি ১০৮ |
অবান্তর প্রশ্ন
সেই নীলকন্ঠ
পাখির খবর বলতে পারো!
হাতে হাত রাখা
মাত্র যে শিস দিয়েছিল।
সেই ঘাসেদের
কথা রেখেছো কি মনে এখনো?
আগুনের ফুলকির
মতো, আমার চুমুর খুশিতে ঝরে পড়া দেখে; হিংসেই যারা জ্বলেপুড়ে ছিলো।
সেই দিনের কথা,
মনে করতে পারো...
অবান্তর প্রশ্নের
কানাগলিতে সেই যে
প্রজাপতির স্বপ্নগুলো
ফুল হয়ে ফুটেছিল
আর সেই পুলিশের
কথা; ভুলে গেছো?
বুকে জড়িয়ে
থাকা দেখে
যে চিৎকার করে
উঠেছিল...
এই তোরা চিরকাল
একসাথে থাকবি তো?
প্রেম! আনমনা
এখন চুপচাপ
বালুঘড়ি ওলোটপালট,
ভালোবাসার দিন
ঘাসের ডগার মত বেরঙা;
আর মনের ভেতর
কাপাস ফাটে না অহরহ,
নিরুদ্দিষ্ট
ভালোবাসা অ্যাকোরিয়ামে সুখী মাছের মতো খেলা করে সুচারু;
সেই যে আমাদের
ভালোবাসাবাসি কিসসা;
আমাদের হাত
ধরাধরির মুহূর্তগুলো...
খুঁজে নিত রাস্তার
পাশে অনামী ফুলের ছোঁয়া!
আমাদের গোধূলিবেলা
কলকলিয়ে উঠত বুভুক্ষু শহরের মাঝে, কাজলদানি
যত্নশীল চোখের
মায়ায়; নিবিড়।
ঘামের সিঁড়ি
ভাঙতে ভাঙতে; সুখের ইশতেহার-- হয়তো লিখেছিলাম বুঝি ভেঙে যাওয়ার সর্বনাম?
আজ নলবনের হাওয়ায়
হাওয়ায়
প্রেম তাড়সে
ভালোবাসা ওড়ে,
নতুন প্রেমিকার
মুখের উপর আলতো চুল; মৃদু হাতে সরাই, মনে মনে।
নষ্ট দিনের আখ্যান
তোর চিন্তায়
নষ্ট দিন আমরাও নষ্ট হয়ে যাই
হেসে খেলে চোখের
পলক,
এলোমেলো চুল,
মুখের উপর--
পাড়ে এসে দাঁড়ালে
হাসির শব্দে ভাসে নদী
অপূর্ব! সেই
প্রথম দেখি তোকে
যেমন মেয়েলিপনা
প্রেমে পড়া ছেলে;
বিপণির মডেল,
পাথর চোখের চাওয়া:
হিজিবিজি থম
মেরে বাতাস দাঁড়ায়!
কথা নয়, বুকে
ফুল তুলে তুই হেঁটে যাস।
সাতজন্ম পরে
যদি দেখা... আকাশী নীলিমা।
সেদিনও মধুর
হাসি চেয়েছি;
আজ চোখের পাতায়
রাখি জল
দিনগুলো বড়
খল্, এলোমেলো নষ্ট হয়ে যায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন