কবিতার কালিমাটি ১০৮ |
জাফরির ভেতর
(ক)
হয়তো এভাবেই
কুলকুচিতে ছুঁড়ে
দেওয়া জল দ্রুত ছড়ায়, তত দ্রুত মরে যায় মাটিতে
আর বৃক্ষসমীপে
কিছু পাতা
নির্জন হারাকিরিতে
আমিও বসে আছি
জাফরির ভেতর
অন্ধকারও লুকিয়ে রাখতে চায় না
আমার হৃদয়
নুমাইশ নরম
জড় করে গুচ্ছের গোলাপ...
প্রথম ফুটলো
গাছের গায়ে
(খ)
আকাশপ্রদীপ
জ্বলছে বহিরঙ্গে শোক,
অন্তরঙ্গে আশার
আলো নিয়ে
বিন্দু বিন্দু
শহর ভাসবে আলোতে
দীপাবলী উপলক্ষ্যে
তাই, এ পাহাড় ও পাহাড় জুড়ে
নকল শীতসন্ধ্যা।
দস্তানায় পোষ মানায়
দূরত্ব যা অসুখের
সৃষ্টি
কত আর চলবে উৎসব এড়িয়ে মাড়িয়ে ।
অন্তঃসারশূন্য
খুব সুন্দরেরও
সর্বনাশ আসে...
খুব ছোট্ট চিন্তার
ফোকরের মধ্যেও ঢুকে পড়ে একরাশ কালো ধোঁয়া,
বিপজ্জনক
জুমের টংঘরে
বসে ভাসমান বিলাপক
পূর্বোত্তর
মেঘের মত
অন্তঃসারশূন্য
পরতে পরত খুলে
সব দেখিয়ে ফেলা।
প্রাপ্তমনস্ক
জটিলতা বয়স বাড়িয়ে দেয় চাণক্যনীতির
মেধা ও বিত্ত-
প্রাচুর্য না
থাকলে সবটাই গুরুত্বহীন।
মৃত্যুঞ্জয়ী
মহাকালের আবেগ
অঘ্রানী জল হয়ে নেমে বসে মাটির বুকে...
বীজপত্রে, প্রখর
শিলায়।
অতঃপর
আলভেজা বাতাসের
শনশন, আমাদের দৈনন্দিন অপূর্ণতারা
থেকে যায় পর্ণমোচী
শব্দে
অবক্ষয়ী পৃথিবীর
ধুলোর আলপাটে, জলঘাস-স্রোতে
অক্লান্ত থেকে
যায়
নিজেই নিজেতে নিজের... নিষেকে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন