শুক্রবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২১

রঞ্জন মৈত্র

 

কবিতার কালিমাটি ১০৮


ট্রেক রুট

 

ছাদ দেবে কথা দিয়েছিল

উঠতে উঠতে খাদ ও ব্রহ্মকমল

তালা আর চাবিদের অনেকটা বাঁচা হ'ল

এই বিবৃতি থেকে যাওয়া তো চাই

খুব আলোয় চাই তো বেফিকর ঘুড়ি

কেন লতিয়ে নামে না জানলায়

হাত নাড়তে আসে না যখন অটো

ছেড়ে যায়, ট্রেন এবং শ্বাসবায়ু।

সাবেকি দুয়ার থেকে অন্য কপাট

খুলে দিলে সূর্য পড়ে বর্ষা পড়ে

ঘর বসে থাকে ছাতা মাথায়

যা নাগরদোলার চেয়ে বড়

ফ্ল্যাট রাত্রির চেয়ে রাত্রির ফ্ল্যাট

গড়িয়ে গেলে সিঁড়ি নামছে শূন্য থেকে

ধাপে ধাপে চেষ্টা করি গলা মেলাবার

 

পায়ের দাগ

 

যেদিন ধুলোরা রঙ বিনে উড়ছে

খুসে পড়া হুলিয়াটি দূরের

পাখাটি পাখির এই গ্রাম্য কৌমুদী

ধ্বসে পড়া বইয়ের পৃষ্ঠা

আর চক্রটি বাঁচাও বাঁচাও

সেই সাইকেল বাজার ও দফতর হয়ে

ছাদ সাক্ষী কত ধুলোদের ডাক

রঙ বসছে, নুড়ি বসছে পথের কারুতে।

চিহ্নটি পায়ের তুমি মানলে

আর পা রইল দূরে কোথাও

ভর করা শরীরটি ভূগোলে রসায়ণাগারে

ওং গোলকটি কোথায় উড়ছে

কোনও একে রাঙা ধুলো

কোনও এক গান

এখানে বই খুলো না

ছাতাটি বন্ধ থাক ভাঙা পথে বেপরোয়া রোদে


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন