মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২০

তাপসকিরণ রায়

 

কবিতার কালিমাটি ১০৭


চন্দ্রগুপ্ত থেকে গুরুনানক

 

চন্দ্রগুপ্ত থেকে গুরুনানক বেরিয়ে আসছেন

গতি প্রকৃতি বদলে যাচ্ছে--

এ ছাড়া একই অঙ্গ রূপান্তরিত হচ্ছে,

তুমি এগিয়ে যাচ্ছো আস্তে আস্তে

বালুচর অথবা পাহাড় খাইয়ের গর্ভে চাপা থেকে থেকে

স্বয়ংক্রিয় একটা জন্তু উঠে আসতেই পারে।

আগুন উপহার দিচ্ছে কতকিছু--

আবার কখনো স্ফুলিঙ্গ গুপ্তচর

বেছে নিচ্ছে--শত্রুর আস্তানা

যা কি না অনায়াসে পুড়ে খাক হয়ে যাচ্ছে।

আয়না থেকে কিছুতেই ছিটকে বেরিয়ে যেতে পারছ না তুমি

বন্দি হৃদয় ও তোমার শরীর জুড়ে আছে।

রবীন্দ্রনাথকে বিশ্লেষণ করতে গেলে

কবিতার বিস্তৃত এক মাঠ… আর আমরা নিশ্চিন্দি ঘুমিয়ে গেছি।

কিছু জ্বলা পোড়া ছাই চাপা হিংস্র বারুদ

বাষ্পীভূত হয়ে গেছে--প্রেম শলাকায় সেও এক আম আদমি।

তোমার শরীরে একটা নিরীহ বৃক্ষ কিংবা আওরঙ্গজেব বাসা বেঁধে আছে l

 

কামিনী রাতে

 

আজ কামিনী রাতে তুমিও ভ্রষ্ট হতে পারো

কাল সকালের উন্মুক্ত রোদ তোমায় চরিত্রবান বানিয়েছে।

জীবন নিরিখে তুমি কর্মের আধারে ছেপে যাও।

 

আগুন

 

আগুন শুদ্ধতায় যেটুকু পুড়ে গেছো,

মন? মন কৈ তোমার? 

তাবড় তাবড় মানুষগুলি কবে যে মাটিতে মিশে গেছে...

ভাবের এত ব্যবধান  রচিত হয়েছে--

পর্দা অনুষঙ্গ পোশাক হীনতার দগ্ধতা পোড়া চামড়া

তবু ভালোবাসার পাথর দেবতা থেকে

তুমি একদিন উঠে আসবে জানি।

 

 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন