মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২০

প্রদীপ চক্রবর্তী

 

কবিতার কালিমাটি ১০৭

নীলপ্রয়াণের জল

 

(এক)

 

জলের দলিত রঙ

জংশন-পলাশ ও পাখিদের পূরবৈঁয়া

 

একতলা তিনতলা হাইরাইজ

জল একটি ডুয়েল চরিত্র

 

সুদূর সপ্তনরী গেঁথে রাখে বনদেবতা 

 

শরীর ভেঙে উপবন

 

তর্জনী সংকেতপ্রিয়

 

যদি কখনো আসে কোম্পানী বাগানের  ট্যুরিস্ট

শীতের চড়ুইভাতি

সাতগুরুং

 

শূন্য করে দেয় মানুষের তিলতত্ত্ব

গাছেদের

বৃদ্ধাশ্রম 

 

যখন পাখি ওড়ে ভোরের আঘাতে

 

চাল থেকে কাঁকর বাছে বনদেবতার মা

 

বহুদূর হাঁটা পথে

শেষ রোদের অবেলা ফিরি করে

খুচরোর ব্যাপারী…

 

(দুই)  

 

মহুল রঙ

হোমারের নৌকো

হলুদ অরণ্যদেব

কার্বন মালিকা

 

কৈশোর কারিগর

নীলপ্রয়াণের জল

হারানো গ্রহের ধুলোবালি

শহরতলী

ফুলের বাজার

 

গোলাম জড়ালো বিবি

সুলতান চাঁদে যাবে কী যাবে না

অথৈ গ্রীষ্ম বসন্ত কুসুম পরিযায়ী

 

আমার স্টেশন ছিল খয়েরবাড়ি

মিউটিনির পুরনো শহর

বিবাহ-গীতি, মুনিয়ার সুর

চাঁদের নগরে

জল তার মাথাভাঙা, মারীচ-হরিণ…

 

(তিন)  

 

মধ্যে পথ

পুরনো ঠান্ডার গন্ধ

ঘরের পরিসরে

খুন নামিয়ে রাখলো মগজ

পাখিদের হারমোনি : হাঁসুলি বাঁকের উপকথা

ইয়াসিনের ঘোড়া মাত্রাময় মুনাফা

 

কে যে বাড়ি, কে গাছ, কে - বা

লাবণ্যের বালিহাঁস

ইয়াসিনের পশম-এর জামা ও বালাপোষ নিয়ে

ইয়াসিনের ঘোড়া যায় গৌরিকুন্ডে

তার পিছু পিছু শহরতলীর পাগল-প্রসবিনী

 

ঝুরো সবুজে টোল পড়ে

পাখিচক্রে পিঁজে যেতে থাকে

দূরিয়া নামের বয়ঃসন্ধি…


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন