প্রতিবেশী সাহিত্য
লুইস এলিজাবেথ গ্লুক-এর কবিতা
(অনুবাদ : বাণী চক্রবর্তী)
কবি পরিচিতি : লুইস এলিজাবেথ গ্লুকের জন্ম ২২এপ্রিল, ১৯৪৩। তিনি একজন আমেরিকান
কবি ও প্রাবন্ধিক। পেশায় অধ্যাপক ছিলেন। আগেই পুলিত্জার পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন।
সম্প্রতি এবছরের নোবেল (২০২০) পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তাঁর কবিতায় প্রতিভাত হয়েছে
ইতিহাস, পৌরাণিক বিষয়, প্রকৃতি, মানুষের জীবন। এরসাথে তিনি প্রচুর আত্মজৈবনিক কবিতা
লিখেছেন।
Snow drops (অনাঘ্রাত বাতাস)
তুমি জান আমি কি ছিলাম… কেমন করে ছিলাম? তুমি কি জানো হতাশা কি?
তবেই তুমি বুঝবে শীতের তাৎপর্য!
আমি বাঁচতে চাইনি... এ পৃথিবী আমাকে
নিষ্পেষিত করে রেখেছিল... আশা করিনি
আবার জাগবো, মাটির এই সোঁদাগন্ধ
আবার মাখবো। স্মরণ করবো দীর্ঘ বিরতির
পর… কেমন করে শীতল আলোক বর্তিকায়
অনাগত বসন্তের দরোজা খুলে যায়!
ভয় পাচ্ছি... হ্যাঁ, কিন্তু তোমার
মাঝে কাঁদবো,
আনন্দ করবো... বুক ভরে নেবো এই নতুন
পৃথিবীর অনাঘ্রাত বাতাস!
অল হ্যালোস (অসমাপ্ত)
এখনো এই ছবিটা পুরো হয়নি
পাহাড় আরও গাঢ় হবে
ষাঁড়গুলো তাদের গলার কাঠের নীল বন্ধনীসহ
ঘুমোবে
পাতা কুড়িয়ে পরিষ্কার করা হবে মাঠ
শস্যের বান্ডিলগুলো মাঠের সীমানায়
রাস্তার ধারে সুন্দরভাবে স্তূপ করা হবে বুনোফুলের
সাথে, ঠিক তখনই আকাশে দেখা দেবে একাদশীর
চাঁদ।
এটা অনুর্বরতা অথবা কিশলয়ের মড়ক!
মালকিন জানালা দিয়ে ঝুঁকে আছে
প্রসারিত হাত দেয়ার ভঙ্গিমায়,
বীজগুলো ডাকছে… এখানে এসো…
এখানে এসো ছোট্ট প্রাণ এবং
প্রাণ গাছ থেকে হামাগুড়ি দিয়ে বেরিয়ে
আসে!
Matins (প্রত্যুষের গান)
তুমি জানতে চাও...
কেমন করে আমি সময় কাটাই?
আমি লনের সামনে হাঁটি -- এমন দেখাই
আগাছা তুলছি! কিন্তু তুমি জান
আমি তা করি না। আমি হাঁটুগেড়ে বসে
ঘন শয্যায় শায়িত সাদা গোলাপি ফুলের
গাছগুলো ওঠাতে থাকি কেয়ারি থেকে।
সত্যি কথা বলতে কী
আমি সাহস সঞ্চয় করতে চাই
কিছু উদাহরণে আমার জীবন বদলে যাবে!
যদিও এটা অশেষ সময়ের ব্যাপার।
প্রতিটি ঘন গাছের অন্তরালে
শুকনো পাতা খোঁজা…
গ্রীষ্ম শেষ হতে না হতেই বদলানো,
প্রতিটি
রুগ্ন গাছের পাতা রূপান্তরিত হয় দ্রুত!
ঝরে যাওয়ার আগে উজ্জ্বল হলুদ হয় তারা।
যখন কিছু কালোপাখি বিরাম দেয় সংগীতে!
তুমি দেখতে চাও আমার হাত?
এখনো তেমনি শূন্য... যেমন প্রথমে
ছিলো!
অথবা মনে করো সবসময় চলতে থাকা
কোনো বৈশিষ্ট্য ছাড়াই!
প্রকৃত কবিতাটি তো জানা নেই,পড়াও নেই। তবে বানী দির অনবদ্য অনুবাদ তিনটি ক্ষেত্রেই হয়ত প্রাথমিক কবির অনেক কাছে নিয়ে গিয়েছে। খুব দোলা দেওয়ার মতো অনুদিত। শ্রদ্ধা রইলো।
উত্তরমুছুনবানীদি আপনার স্বরচিত কবিতা প্রাপ্তির আশা বেড়ে গেল। কাজল বাবুকেও শ্রদ্ধা জানাই এই প্রাপ্তির কারনে। জামশেদপুর থেকে বিমল চক্রবর্তী।
অনেক ধন্যবাদ । প্রাণিত হলাম। মৌলিক কবিতাও আছে তবে কাজলদা অনুবাদ চেয়ে পাঠান তাই অনুবাদ দেই। ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা ও প্রীতি রইলো।
মুছুন