কবিতার কালিমাটি ১০৬ |
সুন্দর ও
যথার্থ
সুন্দর ও যথার্থের অনুসন্ধান প্রায়শই
হতবাক পড়ে থাকে সাদা
পৃষ্ঠায় ।
এর মুহূর্তকাল যাপন মুখে রক্ত তুলে
জ্বরাগ্রস্থ বিলাপের কতশত গল্প অজানা
রেখে
ভেঙ্গে গেছে তোমাদের
যাবতীয় আসর ।
যা রয়ে গেলো আলোর মুখে,
কচি সবুজ পাতায়
তাতে কোন অস্থিরতা নেই , সংশয় নেই
সতত জাড়িত চোখে বরং
মুগ্ধতা।
যথার্থ হোলেই তা সুন্দর প্রবোধে
বাঁক ঘুরে গেছে
জীবনের দীনতার মুচলেকায়
বোধ ও প্রকাশের মাঝে আটকে থাকা
অক্ষমতা নিয়ে সহস্র
নক্ষত্র মরে গেছে পৃথিবীর ধুলায়৷
দ্বিধা
সব কিছু
পার হয়ে যাওয়া হয়।নদী ও শহর। হাজারও চিহ্ন রেখা মুছে নিয়ে পুরোনো ক্ষতের মুখ ঢেকে
দেয়া যায় লতা গুল্মের কোমল কান্তি রেখে। বাহানায় দেখে নেয়া সমীচীন হয় শুকনো জলের
দাগ।
ব্যর্থতার
অতলে যখন চলে গেছে সবটুকু বাতাবরণ মানুষ ফিরবে আবার নিজেরই নির্মাণে? রুগ্ন
মানুষের আস্থার যেটুকু রয়েছে বাকী সময়ের কাছে তার রূপ জমা আছে গমরঙা দুপুরে। এমনই
অনেক প্রার্থনা মনে, উচ্চারণ বেমানান বুঝে স্তব্ধতায় নত হয়ে থাকা।
সবকিছু পেরোনো হয়। নদী বা নগর অনায়াসে। শুধু দ্বিধার সুক্ষ কাঁটা পেরিয়ে যাওয়া হয়
না আমাদের।
বাদামী
বিষণ্নতা
কতবার পড়েছি লুকিয়ে
এক এক ছত্রে রোমন্থনের প্রহেলিকা
বিছিয়ে রেখেছো,
অনুপম কিছু উপমা নিয়ে অদম্য প্রকাশের
নান্দনিক ভঙ্গি তুলে এনে
দৃপ্ত অথচ মিহি শব্দের অনন্দঝর্ণা
রাইন বা লা তেত এর মতো বয়ে গেছে নির্বিবাদে।
বিশ্লেষণ উঠে আসে,
ততোধিক
মতপ্রকাশ।
এইসব যাবতীয় প্রচারণার অন্তরালে
তাপ-নিরুত্তাপের উৎসবিন্দুতে
পোড়া বাদামী বিষণ্ণতা জমে থাকে।
শব্দের
ইশারা ও অনুষঙ্গ
অপেক্ষায় থেকে
ডেকে গেছে কেউ প্রীতিকর সম্বোধনে,
রেখে গেছে -
কিছু বর্ণেরঅভিজ্ঞান ও অন্তর্গত অনুষঙ্গ।
সেইসব শব্দেরা
ছড়িয়ে আছে আলোর রশ্মির অযুত রেখায়।
রেখারা মিলিয়ে গেলে ছায়ার ভিতর,
টুপটাপ অন্ধকার ঝরে,
তারা
গাঢ় হয়
এরপর পুরাতন পৃথিবীতে রাত্রি নামে।
আর সেই গম্ভীর বিষণ্ণ আঁধারের এপিটাফে
অনিবার্য ইশারা নিয়ে বর্ণগুলো বাজে
ঝিঁঝিঁর এক টানা সুরে,
শব্দগুলো
জোনাক আর কুয়াশার ভিতর প্রতিপদ তিথিতে
ছোট্ট দ্যুতি হয়ে জ্বলতে থাকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন