কবিতার কালিমাটি ১০৫ |
দুপুর গড়িয়ে
নিখোঁজ স্তব্ধতার মাঠ ঠোঁটে নিয়ে তখনও
বাতাস বাজে সবুজের ডানায়
কোথাও কাঠ গোলাপ ফোটা মিহি শব্দের ভেতর
দুপুর গড়িয়ে যায়। আর
এইসব দেখে নেয়া পরিধির আলোছায়ায়
স্নানশেষে গৃহলক্ষ্মীর ভেজা মীমাংসার সুবাস নিয়ে
উড়ে গেছে আঁচলের হাওয়া -
একটা ঘাম-দুপুর হলুদ বিক্ষেপণ ছড়ায় বারান্দায়
কোন এক সংযোগ তৈরির আচ্ছাদনে
জড়িয়ে যাচ্ছে ভিন্ন বলয়ের গল্প-
নীচের রাস্তা পেরিয়ে যায় টুংটাং সাইকেল
সাথে, বিপুল তরঙ্গ হে -
আর নীল সমুদ্র খুলে জলমগ্নতা স্থির হতে থাকে
কৈশোর পেরিয়ে
যাওয়া উচ্ছলতার সমান্তরাল।
সন্তাপ
উপুর আকাশের জমিনে
যেসব পরির দল ডানা খুলে ঘুরে বেড়ায়
তাদের অনন্ত অভিসারে ডেকে নেয়
কৃষ্ণের বাঁশি, কিউপিড বা বেণীবাধব, নবীন
পুরুষ
অভিসন্ধি আলোছায়া গল্পের ভিতর,
মানুষের প্রবণতা সে কে আর বুঝেছে কবে!
এরচেয়ে বেশী আচ্ছাদনে জড়াতে হলে
পড়ে নিতে হবে -
প্রেম পর্যায়ের চ্যাপ্টারে বৃষ্টি
তার তালে সুতো ও পুতুলের ভিজে যাওয়া
যেতে যেতে পৌঁছে যাবে
খাদের কিনারে বিপদজ্জনক,
তখন চোখের থলিতে
অন্ধ তির ছুটে না অব্যর্থ নিশানায়।
বিভ্রান্তির ভিতর জমা হয় হিম নির্জনতা
কেবল কুয়াশা মেঘ ধোঁয়াশা আঁধার
ফিরে যায় ব্যক্তিগত বিলাপের সন্ন্যাসে।
এবার মৃত্যুর অধিক এক ফোটা জীবন,
নিজেকে গুঁজে দিয়ে নিজের ভিতর
ডানা ভাঙা রূপসীরা প্রার্থনায় খুঁজে নেয়
বিবর্ণ বিস্মরণের ঘুম!
নিঃস্বতার ছবি
ফিরে না দেখার মত নির্দয় চোখ নিয়ে
নিরুদ্ধ সময় নিঃশ্চুপ।
তরঙ্গের বিনিময় দোল থেমেছে
ঘোলা অন্ধকারে
শতবার মনে করা অনুভবের ভিতর
কোন ঢেউ আর আছড়ে পড়ে না কোন কুলে।
দৃষ্টি সীমায় দেখা না দেখা
বৃষ্টির ভিতর ভাঙ্গা ছাতার মতো
একটা নিঃস্ব বিকেল পড়ে আছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন