কালিমাটির ঝুরোগল্প ৮৯ |
একাকীত্ব
এখন আমি ঘরে একা। সামনে ল্যাপটপ। এককাপ চায়ে চুমুক দিয়েছি কি দিইনি, ফোন বেজে উঠল। ভেবেছিলাম নিরিবিলিতে কিছুক্ষণ কাটাবো। কিন্তু নাহ! তার উপায় নেই দেখছি।
আমার এক বান্ধবীর ফোন। “কী রে শুনলি? কাল থেকে শুনছি লকডাউন?” একাকীত্বর মধ্যে আমাদের আরো একা করে দেওয়া, আর কী! গত ক’বছরের সঙ্গী তো শুধুমাত্র আমার ল্যাপটপ। বালির মধ্যে পা পুড়িয়ে ছুটে চলা জীবন। বালির মধ্যে আয়না দেখতে পাওয়া জীবন। তবু আমরা এতো ভয় পাই কিসের? ১০০ বছরের একাকীত্ব! নাকি আরও কিছু? বাস্তবকে ভয়? দিনের শেষে ঘরে না ফিরতে পারার ভয়? নাকি চেনা মুখগুলোর কাছে ফিরতে পারার ভয়? অথবা ফেরার পর অচেনা মুখগুলো দেখার ভয়?
আমার তো বেশ লাগছে। রাস্তায় বের হতে হবে না। জনশূন্য রাস্তা। অপরাধীদের দেখতে হবে না। কেউ উল্টোপাল্টা ছুঁয়ে যাবে না বাসে। তাছাড়া আমি তো এমনিতেও একা। গত বছরের সাথে এ বছরের আমার তেমন কোন তফাত লাগছে না। বিগত দশ বছরে আমার সঙ্গে সকলেরই সোশাল ডিসট্যান্স তৈরি হয়েছে। ফিজিক্যাল ডিসট্যান্স-ই শুধু না। বহু কাছের মানুষকে চেনা হয়ে গেছে। পিএইচডি-র থিসিস নিয়ে যখন হাবুডুবু খেয়েছি তখন কাউকে পাশে পাইনি। এই লকডাউনে তাদের পাশে থাকা নিষ্প্রয়োজন। অনিশ্চয়তার দিন কাটাচ্ছি। বেশ করছি। অন্ধকারে ডুবে গেলেও আর কাউকে পাশে চাই না। পেনডেমিক’কে আমি আর ভয় পাচ্ছি না…
ফোনটা রেখে আবার ল্যাপটপের দিকে মন দিল।
প্রথমবার এইখানে আপনার লেখা পড়লাম৷ আরো পড়ার ইচ্ছেতে রইলাম - অরূপ
উত্তরমুছুনJhorjhore lekha...kintu eto kom keno...arektu jeno porte parle bhalo lagto
উত্তরমুছুনআরো যেন খানিকটা বলার ছিল বলে মনে হল। এনিওয়ে এটার কি সেকেন্ড পার্ট আছে?
উত্তরমুছুনভাল লাগল আপনার লেখা। সহজ, সরল এবং পড়ে যেতে ইচ্ছে করে -SB
উত্তরমুছুনভালো
উত্তরমুছুন