শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২০

তৈমুর খান

 

কবিতার কালিমাটি ১০৪


নষ্ট সিনেমা

করতলে নদীর বিয়ানো চরাচর

নৌকা চিহ্ন, বাঁশিব় জীবাশ্ম

আর খাঁ খাঁ শূন্য বিস্ময়

 

বিমূঢ় যুগের ছবি

ক্যামেরায় সাঁতার দিচ্ছে

 

বিকল্প শিকারি এসে শুরু করছে অন্ধবিপ্লব

 

রোদ পড়ে গেলে

যা কিছু বলার ছিল

সব পাপ

দুধ পান করে করে

কখন বড়ো হয়ে গেছে

ভোরবেলার সাপ

 

এখন নিশ্চুপ বারান্দায় তাকিয়ে থাকা

দূরকে কাছে ডাকা

 

রোদ পড়ে গেলে অন্ধকারের হাতে হাত

নগ্ন ছোবল শুধু, দু এক পেগ্ বিমূঢ় মদ

 

শুধু বিজ্ঞাপন

মূর্খের সন্তান

বাতাপি লেবুর গন্ধে জাগে

কোকিলের ইংগিত তার মঙ্গলকাব্য

জলাশয় থেকে ভোর তোলে

 

একটি ঢেঁকির কল্পনায়

সম্পূর্ণ পাড়া গাঁ

নবান্নের স্বপ্নে দোল খায়

তারপর রেললাইনের দিকে আনমনে হাঁটে

ধোঁয়ামাখা মুখ কার?

ধান দূর্বার মুখ মুছে গেলে

শুধু বিজ্ঞাপন হাসে

 

মৎস্যরমণী

চোখ সরাও, কল্পনাকে দেখি

আলতামাসির পর এই প্রথম রমণী

আকাশী রঙের শাড়ি পরে দোলায় মাথার ত্রিপল্লি বেণী

 

চার প্রহর কেটে গেলে ডুবজলে এখনও আগুন

মাছগুলি চেয়ে আছে, ঢেউ ওড়াচ্ছে

আলগোছে সুর তুলছে, তাদের মুখে জলবাঁশি

 

অজ্ঞাত

এক একটি রঙিন চিতা জ্বলে উঠলে

করুণ চিৎকারগুলি নিভে যায়

মেঘ সমাগমে সূর্য গুটিয়ে নেয় রোদ

যদিও রোদের ভাষা তখনও থেকে যায়

 

কার ঘর সংসার ভেঙে বয়ে চলে যুগ?

যুগের গুহায় লুকিয়ে থাকি

শ্রীরামকৃষ্ণ ভোর ভোর জবা তুলে নেয়

 

জবা কি সারাতে পারে সেসব অসুখ?

 

 


২টি মন্তব্য:

  1. সব কবিতাগুলোই অসাধারণ, হৃদয়স্পর্শী। বাস্তব জীবনের চিত্র কবির লেখায় ধরা পড়েছে। খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ কবি তৈমুর খানকে।

    উত্তরমুছুন