শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২০

শুভায়ু দে

 

কবিতার কালিমাটি ১০৪


মিথ্যা

প্যারাডক্সে প্রশাসকের মিথ্যে নিলাম।

জাহির করতে কিছুই চাইছি না।

শুধু একটা অপরাজিতা ফুল,

বাগানের কোণ থেকে নজর কাড়ছে।

পৃথিবীর তিনভাগ জল, একভাগ মিথ্যে।

দাবানল শেষে মৃত অরণ্যের হাহাকার,

রুদালীকেও শিল্প মানলাম।

চৌকাঠ পেরোলেই মুড সুয়িং করে

বলতে হবে, ‘ভালো আছি।আপনি কেমন?’

সবকটার চরিত্র জেনেও

মিউজিয়ামে মালা পড়াতে এসেছি।

একটি স্ক্যাভেঞ্জার খাতার স্ক্র্যাপবুকে,

শুধু মিথ্যে সইয়ের নিশানা রেখে গেছি।

 

অন্তর

বুকের গোপনে মণিপদ্মে রেখেছি আদিম উত্তাপ। প্লেবয়রাও দিনের কোনো এক ফূর্তে কবিতা লেখে আর লামারাও ভাইস-ভার্সা। নিবু আঁচে সেঁকে নেওয়া স্মৃতিতে মনে পড়ে বাপের লাথি। তবু বাপ তো বাপ হোতা হ্যায়, ভালোবাসি। না, না, ওসব ফেক হাসিতে গলো না। আমি ক্ষতি করবোই। অন্তর কোনোদিন মাফ করতে পারে না শত্রুকে। যুদ্ধ হবেই।

 

চার্চের মধ্যে একটি রাত

কেউ দেখছে না।

আমি জামা-প্যান্ট ছেড়ে উলঙ্গ হয়ে শুয়ে আছি,

একটি ক্রুশের সামনে।

ঈশ্বরের কথা বারবার ভাবলে মানুষই ঈশ্বর হয়ে যায়।

তারপর সব পর্দা পিছনে ফেলে মানুষ এগোতে থাকে সামনে।

একটি প্রচ্ছন্ন এপিফ্যানি।

একটি মুক্তির সাদর অভ্যর্থনা।

একটি আলো জ্বলা ঘরে স্কাউটিং চলছে বাইবেলের।

কানের সামনে শুধু হ্যালেলুইয়া।

বন্যার মতো ভেসে যাচ্ছে মানুষ।

এতো বছর ধরে জমিয়ে রাখা ময়লা কেঁদে যাচ্ছে।

একটার পর একটা জামা খুলে যাচ্ছে।

মুখোশও আছাড় খাচ্ছে।

 

চার্চের বাইরে একটা রাত অপেক্ষা করছে।

এই রাতটা শেষ হলেই অন্য কোনো মানুষকে নিয়ে ঢুকবে

এই বন্ধ শুদ্ধ চার্চের ভিতরে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন