কবিতার কালিমাটি ১০৩ |
কবি
যেসব
রূপক নিয়ে কথা বাঁধে কবিতাপাগল
দুঃখ
বর্ণ তার ছিঁড়ে গেছে ধুলোর পাতায়
এখন
নদীর মতো ভাঙা আর জোড়া শিখে নিলে
কিছু
বুঝি সোজা হতো জীবনের ছক কষে ফেলা
অথচ
দু’হাত জুড়ে কত-কত পাথুরে খাদান
চকচকে
ঘৃণা পোষে, হিংসা ও নানাবিধ বিষ
পাগল
তাদের নিয়ে কাটাকুটি খেলে ও খেলায়
অগাধ
শূন্য নামে ঘরে, অপার শূন্য খসে যায়
এই নাও সংগোপন
বাহারি আয়না কাচে
ভিজে আছি আরও একবার
ভ্রমের অধিক কোনও
বন্ধুতা আমারও তো নেই
ও আমার কড়েনখ ছুঁয়ে
মিথ্যের তিন নাম করে
ও আমার বুকের ওপরে
শ্মশানের মৌনতা চায়
আমি ওর মগ্নপ্রেমিক
স্মৃতিখেকো কাঠুরিয়া পাখি
দিন শেষে নিজের ভিতরে
গুটিয়েছি সব শীতকাল
ঘৃণা
থেকে যতখানি পারি
পরিশোধ
তুলে রাখি,
ভুলে
যাই
হাতের
রেখার মতো এতখানি আঘাতপ্রবণ
জলাশয়
খুব কম আছে
ডুব
আর ডুব দিয়ে অতএব
বুড়ো
হয় আমাদের বীতশোকবেলা
নিজেরই
ছায়ার কাছে ফের
মায়া
পাতি, গাছ হয়ে উঠি
যেসব
গুঁড়ির বাঁকে-বাঁকে
বহুদিন
ভেঙেছে ঈশ্বর
আমি
তাই বাস্তুসাপের
জঠরেই
গুঁজি বীজধান
শয়তান
কাছ ঘেঁষে বসে
ও
আমার পিতা ও পালক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন