শুক্রবার, ১৪ আগস্ট, ২০২০

তৈমুর খান

 

কবিতার কালিমাটি ১০৩


কল্পিত ঈশ্বর
 

    

 রাতের বাজনা বেজে উঠলেই 

জেগে ওঠে আমাদের কল্পিত ঈশ্বর 

 

মানুষের অশ্রুফুলে ঝিকিমিকি রাত 

মানুষের রক্তে রাঙা পূজার গোলাপ 

 

সমস্ত বিষাদ চিরে যদিও ওঠে চাঁদ 

চাঁদের ঘুঙুর নেই,জ্যোৎস্নায় ঝরে আর্তনাদ...

 

 পরামর্শ

 

অন্তর্জননীকে আমাদের ঘরের চৌকাঠে বসাই 

মেঘমালা রোদের অভীপ্সায় তুলে রাখি 

কাঙাল দিনযাপনের পরামর্শ চলতে থাকে 

এর মাঝেই প্রসব হয় কাল 

এর মাঝেই কমল ফোটে 

ভ্রমরেরা গেয়ে যায় গান

 

 অনাস্থা প্রস্তাব 

 

নীল ঘুমের ভেতর কারা কালো পতাকা দোলায়? 

আমার ঘুম ভেঙে যাচ্ছে বারবার 

স্বপ্নের দরজা দিয়ে পালাচ্ছে 

ভালো অনুভূতিগুলি 

শীত পড়তেই কুয়াশাকাতর আমি 

লুকিয়ে রাখছি গরম চাদর 

 

ঘুমের ভেতর অনাস্থা প্রস্তাব 

প্রসব করছে কাঁপা কাঁপা রাত 

চন্দ্রোদয় হয়নি বলে 

নিঃঝুম জোনাকিরা খায় স্তব্ধ প্রহর 

 

 অভিনন্দন 

   

 জলসর্দির আকাঙ্ক্ষা থেকে উঠে দাঁড়াচ্ছি 

এই প্রত্ন শহরে তবু অমোঘ বিহ্বলতা আছে 

দুয়ারে দুয়ারে তাদের ডাক শুনতে পাই 

ছদ্ম ঘোর কেটে গেলে 

উত্তেজনা প্রসূত বারুদ 

কেবল আগুন চায় 

 

এখন সব আগুনের মুখ 

মুখে মুখে আগুনের ভাষা 

 

আহা লেলিহান 

তাপ পাই 

তাপে তাপে কার অভিনন্দন সেঁকে নেয় প্রলাপ? 

 

 তোমার আলোয় 

      

তুমি ফুটে ওঠো, নক্ষত্র হয়ে তুমি ফুটে ওঠো 

চারিদিকে অন্ধকারের বিস্তার ঘটে চলেছে 

আর সব দার্শনিকেরা মচ্ছব শেষে ঘুমিয়ে পড়েছে 

এখন মধ্যরাতের সিনেমা 

উত্তেজনাপ্রবণ হাওয়ায় বুনোহাঁস উড়ে চলেছে 

দিগন্তে একা আমি ভ্রমণ শেষ করে তোমার আলোয় বিদ্ধ হব 

খোলা শরীর বেজে উঠছে বাঁশির মতো 

 

 ছায়ার সংসার 

       

মুক্ত হয়ে উঠছি 

বন্দি থেকে থেকে 

শরীর মরে গেলে 

আমিও দুর্বিনীত উদ্ভিদ 

ডালপালা মেলেছি 

উঠোন জুড়ে ছায়ার সংসার।

 

 

 

 

 

 

 

 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন