কবিতার কালিমাটি ১০২ |
বিজ্ঞান
এরপর আর মসজিদ
মন্দির গির্জা ডাকব না
শুধু ডারউইন
ডাকব অথবা ফ্লেমিং
আর রাত তিনটেয়
কাজ করে চলা
সেইসব
বিজ্ঞানীদের
যারা
মাইক্রোস্কোপ জিনোম প্লাজমা অ্যালার্জি ঘেঁটে
আমায় জিতিয়ে
দেবে
এরপর আর ভীড়ে গা
ঘেঁষে ঘাড়ে নিশ্বাস খালি পায়ে
আলুথালু
উন্মাদের মত চরণামৃত ছিনিয়ে আনব না
মোমবাতি তাকে
দেব যার আলো নেই
যে বাচ্চা খিদেয়
রাত করুণ করছে তার জন্য দুধ
আর মহামারীকে
হারিয়ে
কোন এক শীতের
দুপুরে
এক দুই তিন সাদা
ফুল ছড়িয়ে দেব আমার দরজায়
যেখানে বিজ্ঞান এসে মুখ তুলে দাঁড়াবে
ধর্ম
যারা হাতে রড
ধারণ করে ধর্ম মারাই
ভাঙা বোতল টিউব
চপার থুথু
অথবা বাপমাতোলা
রাগ নিয়ে
ভাঙি
ভেঙে ফেলি
অস্ত্র শব্দ ঘেন্না খেউড়
আরেক পিঠের ওপর
যারা লাল নাল
হ্যান্ডশেক বরাবর
লকলকে উল্লাস
লাঠি রডে
চিয়ার্স
বাকিদের পাই না
আয়নাটাও উধাও
হয়ত শশাক্ষেতে
মাচার আড়ালে
কারো জ্বরছাড়া
কাঁপুনি
আদিম মাংসের
উল্লাস
রেপের আগে যে যে
জিভের আগায়
এমনকি গাছেরাও
যারা নই, তারা
একজন জাগুক
গ্রাফিত্তি
শেখাক আমাদের
দেয়াল ছিঁড়ে কয়েক কয়লা সত্যি –
আমার ধর্ম
একথালা ভাত
দিনশেষে খুশিমুখ
সংসার
আর পড়শীর কাঁধে
একটা হাসিহাত,
আজ আড্ডা কখন?
আওকিগাহারা
গাছের সমুদ্র
মিশিয়ে নিচ্ছে
প্রতি পাতায়
প্রতি খবরে
পায়ে পায়ে
এগোচ্ছি কোয়ান্টা কালোয়
যখন গাছেরা
ব্ল্যাক হোল্
আমার এনার্জি শুষে নিচ্ছে
নিজেকে শেষ করতে
চাই
পরদিন পাতায়
পাতায় অবিচুয়ারি
সব পাখির ঠোঁটে
আওকিগাহারা ভয়
আমিও জানব না অন্ধকারের
পেছনে কি
তাহলে দু’পা পেছিয়ে আলোয় ফিরি
চেনা ডাকগুলো
চেনা প্রশ্বাস চেনা মাটি
শেষ করার চিন্তা
নয়
আমি ছড়িয়ে এবার হাত ধরে আমরা সবাই
আকাশ
কলকাতা আর মোল্লাহাটের আকাশ কি আলাদা?
গুজরাট আর সেকেন্দ্রাবাদের?
কে যেন অর্বাচীন মাইক বাগিয়ে গলা ফোলাতে গিয়েও
হোঁচট
খেল
এক ঝলক আকাশের সঙ্গে চোখাচুখি
কোথাও কাঁটাতার নেই
পাসপোর্ট ভিসার চোখরাঙানি নেই
লাল বা সবুজ রঙের ডিপ স্ট্রোক নেই
আশ্বিন বাজলেই আকাশের এপাড়ে ওপাড়ে
যতদূর
নীল আর কিউমুলাস ডানা
আমি শুধু আকাশে মুখ তুলে রসদ খুঁজি
প্রতি শ্বাসে এক মুঠো বেঁচে থাকার গল্প
প্রতি শ্বাসে মন আরেকটু বড় করে
মানুষ শব্দের যত কাছাকাছি
অথবা আরেকটু ওপরে পাখির মত
It's really an interesting and very good post also. To know more this type of news please visit Keykhabor.
উত্তরমুছুন