প্রতিবেশী সাহিত্য
করিনা
ওপ্রোয়ে-র কবিতা
(অনুবাদ : জয়া চৌধুরী)
পরিচিতি : রুমানিয়া-জাত কবি এবং অনুবাদক করিনা ওপ্রোয়ে-র জন্ম ১৯৭৩ সালে রুমানিয়ায়।
তিনি এখন থাকেন স্পেনের বার্সিলোনায়। রুমানিয়ান ভাষা থেকে স্প্যানিশ ও কাতলান
ভাষায় অনুবাদ করেন। ২০১৬ সালে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘Mil y una
muertes’ প্রকাশিত হয়েছে। অনূদিত কবিতাগুলি
এই কাব্যগ্রন্থ থেকে সংগৃহীত।
Anastasis (অ্যানাস্থেসিস)
রাতে মারা
গিয়েছিল সে
তিনদিন আমি
ওর জন্য কেঁদেছি
এবং তারপর
ধৈর্য ধরে ওর পাশে থেকেছি
ও আবার
পুনরুত্থিত হবে এই আশায়।
ওরা আমায়
ব্যাখ্যা করে বলেছে
যে আমাদের
ভেতর কেউ একজন,
যিনি কীনা
সন্ত ছিলেন,
তিনদিনের
দিন
পুনরুত্থিত
হয়েছিলেন
এবং
স্বর্গে চলে গিয়েছিলেন।
সে নারীও
সন্ত ছিলেন, ভাবলাম,
আর
অপেক্ষাও করছিলাম ওঁর জন্য,
তাঁর লাজুক
হদয় ছিল
থেকে যাবার
বদলে যদি
তিনিও চলে
যান
ওপরে ওই
স্বর্গে।
Dios es mujer (ঈশ্বর হলেন নারী)
আমার
স্বপ্নে,
ঈশ্বরের
মুখ নারীর মত।
আমাদের
সবাইকে তিনি একত্র করেন
একটা বিশাল
খোলা জায়গায়
একটা
ক্ষণস্থায়ী মোড়কে মুড়ে রাখেন
যা কখনও
ফুরাবে না
এবং কীভাবে মুহূর্তে আমাদের গায়ে তা ডানা গজিয়ে দেয়
দেখতে
দেখতে আমরা চমৎকৃত হয়ে থাকি।
আমার
স্বপ্নে,
ঈশ্বরের
মুখ নারীর মত।
ডানাওয়ালা
আমরা
উড়তে উদ্যত
হই
এবং দুইয়ে
দুইয়ে চার করে তাঁর পাশটিতে লেপটে থাকি,
নারী ও
পুরুষ, পুরুষ এবং পুরুষ, নারী এবং নারী
ও ঈশ্বর
আমাদের চোখের দিকে তাকান
আমাদের
আত্মা নিজের ডানা বিস্তার ঘটিয়ে
তাঁকে
জায়গা দিয়েছে কীনা, ইতিমধ্যে আমরা
পুনর্বিবেচনা
করে নিই ত্রিমূর্তি-র ধারণাটি।
আমার
স্বপ্নে,
ঈশ্বরের
মুখ নারীর মত।
আমাদের
আত্মার গহীনে ও বাইরে
-সর্ববিরাজমান, সর্বশক্তিমান,
কিন্তু ঘুম
ভেঙে উঠি যখন
আর মনে
করার চেষ্টা করতে পারি না তিনি
ওইসব যা যা
কিছু জানার পরও
-রক্তমাংসে আসা, মৃত্যু ও পুনর্জীবন-
তারাও আমাদের বাঁচাবার ভান করে।
De mortis (মৃত্যুর কারণ)
যে কোন
মৃত্যুই
তোমার
মৃত্যু
তুমি একটা
জায়গায় নড়াচড়া করো যা
সে ছেড়ে
গিয়েছিল।
তুমি তার
হাসি হাসো।
তার চালচলন
আঁকো
যে কোন
মৃত্যুই
তোমাদের
মৃত্যু
তোমরাই
সমাপতনে
আসা
ছায়ামাত্র।
তার
দৃষ্টিপাতগুলির সামনে
তার পথকেই
তোমাদের পথ করে তোলো।
তার আনন্দে
তোমরা আনন্দ করো।
তার
কান্নাকে নিজেদের কান্না করে নাও।
তার চুপ
থাকাকে মেনে নিয়ে তোমরা থাকো স্তব্ধ।
আজ জানা হয়
না যে
যে কোন মৃত্যুই
হল
তোমাদের
মৃত্যু
যে কোন মৃত্যুই হল
তোমার
মৃত্যু।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন