বুধবার, ১৫ জুলাই, ২০২০

ঋভু চট্টোপাধ্যায়



কবিতার কালিমাটি ১০২



পসথুমাসের জীবনচর্চা   

()

বোঝা না গেলেও সব বিছানা রূপকথা নয়,
আতরের গন্ধের নিচে চাপা পড়া কান্না
টুকরো অথবা সব বিম্বিসার মন এক এক
করে উড়ে এলেও শুয়ে পড়ে চাবাগান,
একদিন শত শত মানুষ চা ছোঁয়নি
শুধু সেই তরলে ঘামের গন্ধ ছিল বলে,
তারপরেও তো টাকা ওড়ে, ভাড়া করা
বাঁশের মাথায় উড়ে বসে কাক থেকে কোকিল,
ইঁদুর থেকে বিড়ালকারোর কাছে স্পষ্ট না হলেও
রাজ্য মানে শুধু ভাতা নয়, ধর্মের কোশে
ভাতের জ্বালানি লাগে

()

তারপরেই তো উল্টে দিলাম, যেভাবে রাস্তার
ওপর গাড়ি অথবা পাতার নিচে গাছ থাকে।
বোঝা না গেলেও লেখা যায় জীবন কোন
বাংলা চ্যানালের ট্যাগ লাইন নয়,
বিজ্ঞাপ মেঘদিনেও রোদ ভাবতে বলে,
তারপর এক এক করে নিচের দিকে সব
গ্লাস উল্টে পেগ হয়, সব পেগ হাঁটতে থাকে
পায়ে লাগানো আরেকটা নাগরদোলার পৃথিবী

()

এরপরেও যদি কেউ ভেবে বসে রাঁদেভু আর গলগথা
এক ক্যানভাস, আর বিক্রিত কাক ও কলম অথবা
অশ্লীল দাঁড়িয়ে থাকা, ঘুম আর অতিরিক্ত যত্নশীলতা,
সব কয়েনের এঘর ওঘর
তাহলেও আর উত্তর পাওয়া যাবে না
সব তুলি একে একে ছবি শেষ হবার পরেই লেপ খুঁজবে
কলম একটা পাঠকের কোল। তারপর মিছিল বা মঞ্চ
রাস্তা বা ঠিকানা  অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসেও শুধু
এক গ্লাস জলের জন্য হাঁটতে
গেলেও ঘাম নামবেজল মানে শুধু নোনতা নয়

()

রামায়ণে দ্রৌপদী আনি
মহাভারতে জ্যান্ত লক্ষণ, তারপর রামশীলাতে জতুগৃহ,
অজ্ঞাতবাসে বিভীষণ বধ। তার মানে এক লিটার চাল
কেনা, অথবা এক কিলো সূর্যের আলো,
তারপর আগুনে স্নান করে একটা বসে থাকা,
এক সাথে পাশা খেলায়, আমি আর বাকি পাঁচটা আঙুল
তার মানে সব উন্মাদকে বাদ দিয়ে রাজা রানী বা
মন্ত্রীদের সেলফি তুললেই ব্যাস
সব চিন্তা এক মুহূ্র্তে শেষ হয়ে গেলেও মাটি
ভেদ করে উঠে আসে আরো কঙ্কাল,
হাতে পিঠে আসমানি ছাপ, মাথা নিচু,
ঘাড় অবধি অবুঝ উপত্যকা
থালা বাসনের দাম্পত্য জীবনে মাঝের একটা
উঁকি দেওয়া প্রশ্ন চিহ্ন রাস্তার পাথর বেয়ে উঠে আসে
ঐ তো আমার নিজের মিছিল,
ঐ যে আমার ভিতরের নিভে যাওয়া আগুন ছ্যাঁকা

1 টি মন্তব্য: