কবিতার কালিমাটি ১০২ |
নৈঃশব্দ্যের হাহাকার
ব্যস্ত শহর... গাড়ির ভিড়... কখনো লাল বাতির
চোখ রাঙানি আবার কখনো বা সবুজের হাতছানি।
শপিংমলে সেলের ভিড় উপচে উঠছে। শব্দের কান্নায় কান
চেপে ধরি। এসবের বাইরে আছে আরেকটা জীবন। নদের পাড়। জলে জল টইটম্বুর।
কিছু নীরবতা এখানে নৌকোতে বসতি করে। আবার কিছু নৈঃশব্দ এখানেও
হাহাকার করে মাথা কুটে মরে অল্প শব্দের জন্য।
ক্ষত
অপেক্ষাগুলো আটকে আছে অভুক্ত নিঃশ্বাসে!
যদি বলো মুক্তি দেবো এই অব্যক্ত শ্রাবণে!
বুকের নিভৃতের ক্ষত চাও যদি দেখতে! তবে
বলি শোনো, গোপনে ক্ষত লুকিয়ে রাখতেই
আনন্দ আমার। পারো যদি আরও ক্ষত দিও
তুমি আবার।
মৃত্যু
প্রতি রাতে অল্প অল্প করে মরি। সবাই ঘুমিয়ে থাকে।
শুধু আমি জেগে তুষের আগুনকে পাহারা দিই। আর জ্বলতে থাকি। কেউ দেখে না। কেউ বোঝে না। আমি শুধু অপেক্ষা
খরচ করে যাই। উপত্যকা থেকে যাবে, শুধু হৃদয়ের ঋণ পেলে বেদনাকে নিয়ে সচ্ছলতার
সনদপত্র বিতরণ করা হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন