বুধবার, ১৫ জুলাই, ২০২০

পারমিতা চক্রবর্ত্তী



কালিমাটির ঝুরোগল্প ৮৬



বিজয়া 

- আজ আর পারছি না বাবু। শরীরটা ভালো নেই। গত চারদিন ধরে জ্বর। তার মধ্যে... ওষুধ খেয়েই চলছি।
- কী বলছিস? এত টাকা কী তোর মুখ দেখতে দিয়েছি? এ দিকে আয় বলছি ঢ্যামনা মাগী, না হলে জুতিয়ে ঠিক করে দেব!
 - রক্ষে করুন বাবু! আজ ছেড়ে দিন...আমার সারা গায়ে ভীষণ ব্যথা। কালকের  বাবু সারা শরীর আছড়ে, কামড়ে দিয়েছে। দোহাই আজকের দিনটা ছেড়ে দিন দয়া করে। আমি মাসিকে বলছি, টাকা ফেরৎ দিয়ে দিতে আপনার।
- বাঞ্চো মাগী, আমি তেল পুরিয়ে যে এলুম। টাকা ফেরৎ! জামাকাপড় খোল বলছি, না হলে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেব।
- বাবু এই বারটা...
- ছাড়...
হঠাৎ দরজা খুলে মাসি চুলের মুঠি ধরে নেড়ে দেয়।  
-বেজন্মার বাচ্চা! কাজ না করলে খাবি কী শুনি? কত টাকা ধার নিয়েছিস মনে নেই? নিন বাবু নিন তো, এদেরকে কীভাবে ঠিক করতে হয় জানেনই তো আপনি! সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে আঙুলটা বাঁকাতে হয়।  

 কাপড় খুলতে খুলতে  রক্তে ভেসে যায় ঝিমলির সায়া, মেঝে। ‘ওরে শালী, তোর আবার মাসিক হয়েছে... তাতে কী! এরই মধ্যে আমি করব। ছাড়াছাড়ি নেই।

বাইরে আলোর রোশনাই। আতসবাজি। হুল্লোড়। পিছনের জানালা দিয়ে দশমীর বিসর্জনের নাচ-গান ভেসে আসে।

ঝিমলীর সারা শরীর জুড়ে বিজয়ার গান...


২টি মন্তব্য: