সোমবার, ১৫ জুন, ২০২০

তৌহীদা ইয়াকুব




কবিতার কালিমাটি ১০১

মনে পড়ে

শহরের সবচেয়ে অমায়িক বিন্দুতে
অপ্রতুল সময়ের ভিতর
কবিতা আর সুর দীর্ঘতর হতো।
প্রতিবার ছন্দপতনের পাশ ঘেঁষে না ফুরনো তৃপ্তি
প্রতিশ্রুতির রোদে বাড়িয়ে দিত ডালপালা।
এরপর যতি চিহ্নে থেমে গেছে কোলাহল।

এখন কেবল বিষণ্ণ চরাচরে ঘুঘু ডেকে যায়।
আর বিস্মরণের ভিতর পরে থাকে খোলসের আলপনা।

শুধু বয়ে চলা

পরিমিতি বোধে আগুন সামলে নেয়া ভাল
তাতে সাময়িক আলোর উৎসব-ঢেউ
ছুঁয়ে যাবে প্রতিটি বাঁক আনাচ কানাচ।
আমি, তুমি এক স্ফুলিঙ্গের উড়ে যেতে যেতে
মিলিয়া যাওয়া নিয়ে ভাবনা বিনিময় করি।
এইটুকু আমাদের গ্রথিত সময় জুড়ে ঝরে
যাওয়া শব্দের অন্তরালে
জলভরা নোনা মৌনতা।
গভিরের আচ্ছাদন খুলে খুলে উপড়ে তোলে
বিচ্যুত বিভ্রাট । তারপর যে যার মত আলাদা গন্তব্যে
শুধু বয়ে চলা সাথে নিয়ে যুগল অনুতাপ।

ঘোরলাগা বৃষ্টিপাত

যখন নিমগ্ন হই, হাসি, ব্যথা, স্মৃতি জ্যোৎস্নায়।
তখন প্রান্তিকে তোমাকে দেখি, সপ্রতিভ লাবণ্যে,
কতকাল যা দেখি না আমি।
শেষ না হওয়া সুখবোধ থাকে,
আর থাকে দহনের কাল। তারপর
আচম্বিতে মুছে ফেলে দৃশ্যের ঘোর,
হারায় ক্ষণিক যাপনের কথামালা।
দৃষ্টির সম্মুখ সীমানায় -
অচেনা আস্তরণ এ নক্ষত্র সাজে।

বোধের বাইরে আলাদা নিঃশ্বাসে এসে কেউ,
অস্ফুট নিস্তব্ধতায় থমকে যায়, থামায় এপারে ওপারে।

মিহিন শব্দে রাতের ভাঁজ খুলে, দেখে
একা জেগে থাকা। দেখে বিস্ফারিত রঙের ধারায়
ঘোরগ্রস্ত বৃষ্টিপাত।




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন