কবিতার কালিমাটি ১০১ |
সমুদ্র ফেরত জন্ম
শুনশান
ভোর ভেঙেছে জলো স্বরে
পূরণ হবার
মেধাবী স্ব-এ
নাবালক বালতি এখন
আতিশয্যবর্জিত
সহজতম এই
নিরাপদটুকু
যে সিংহী বোঝেনি
তার ঢাকের
জ্বালায় নাগরিক এখন মুমূর্ষু
মাটির
বেদান্তবাদ
জলের তোড়ে
ভেসে গিয়েছে
নির্বাক
আবাদের ফসল, খুলে গিয়েছে শোকশ্লোক
তবু গৃহতম
পৃথিবী
ছোবলের
পাশাপাশি সংবাদ রাখে মূষিকাপ্রেমের
অভিমত
নিরাপত্তাবিহীন
চোখে
খুঁজে নিচ্ছে সমুদ্র ফেরত জন্ম
কুলোপনার
শস্যাদি জেনেবুঝে তাই
পেতে
রেখেছি নিবিড় হাঁড়িকাঠ...
কৃষ্ণপক্ষীয় খ-চারিনী
অতএব, তিন
প্রদেশ ঘর আমার
আমি থাকি
গাজনদ্বীপে
ভাটিবেলায়
কান থেকে খুলে রাখি মণিকর্ণিকা
বিধুররাতে
আড়মোড়া ভেঙে
ফিরে আসে
অশৌচকাল
বাকি, দুই
বাটির উলটোমুখ, নীরস প্রতিফলন
তাদের জড়ো
করা শুকনো পাতা দিয়ে দুইবেলা আঁচানো,
বিরাম
নিয়ে বাঁচা
তবু
অভ্যাসে রোজ নৌকা গড়ি
এক, দুই
অথবা তিনটে আদার ব্যাপারী নিয়ে
চিরকুট
জন্ম
কৃষ্ণপক্ষীয়
খ-চারিণী
তণ্ডুল উৎসবের কাণ্ডারি
ফেস্টিভ
সেল যেন এক গুহা, উড়ে আসা নিমন্ত্রণ
ওড়ার পায়োনিয়ার হয়ে
গুহা
হাঁকে, টাঙিয়ে রাখে সজ্জিত মুর্গির তৈলচিত্র
বৃষ্টির মমতা
নিয়ে শয়ে শয়ে
এখানে
ফুর্তির শরীরে ওঠে সূর্যের ঢেউ। আপনি ডিগবাজি খেয়ে
সেই
উদ্বেল ফেনায় হাতিয়ে নিতে চাইবেন ঝিনুকবড়ি
--- কখনও নিমঘষে কখনও তাল
ঠুকে
কিন্তু
খরচের বৈদ্যভূমি উত্তাল
ভিজে যায়
আংটি, চিবুক ছুঁয়ে এগিয়ে আসে ভোর
মহিনের
ঘরে তখনও নড়ে কাঁঠালপাতা
আর, আপনি
তণ্ডুল
উৎসবের সেই কাণ্ডারি
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন