কবিতা |
ভ্রান্তি
এইসব দিন রাত্রির কথা এভাবে কি মনে রাখতে হয় বলো!
হঠাৎ ছায়া হয়ে থাকা যে ঘর
আলোয় মিশে গিয়েছিল,
এস, আজ আবার ছায়া হয়ে বসে থাকি
পাশাপাশি আমরা।
ছুঁতে পারছ না বুঝি আমাকে?
আলো দ্যাখ, মন খুলে দিয়ে...
নিভৃতে ঘুমিয়ে আছে যে সরীসৃপ
সে কখনোই শত্রু নয় তোমার;
বরং আমরাই ছায়া সরিয়ে নিতে পারিনি
আজও, উদার্ত আলোর মায়ায়।
ছাই
সমস্ত শব্দ হারিয়ে ফেললে জীবন থেকে,
কেমন যেন বৃত্তশালী মনে হয় না নিজেকে!
অক্ষরও থাকে না। আসে না ব্যাকরণের মধ্যবর্তী
জটিলতা। আমি খাতা খুলে দিই তখন অকারণ
শূন্যের হাতে।
অথচ, আমাকে ফকির বলো তুমি।
বাঁকা হাসির ধনুক টানে ভাবনা শেখাও আমায়।
আরে ধুর!
আমি তো জীবনের নদী পেরোতে চাই
ওহে নার্গিস বেগম
কাব্যের কলম, সে তো ফেলেই রেখে এসেছি
তোমাদের সাপলুডো খেলার সাপের মুখে।
দিন
এখন আর কাউকেই মনে পড়ে না।
কোনো মুখ ভেসেও আসে না
দূরে চলে যাওয়া পথ ধরে
হারিয়ে যায়। নিঃশর্তে হারিয়ে যায়
কুয়াশার গভীরে।
কুয়াশা সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা যতই করি
অবসন্ন হাত এসে থমকে দাঁড়ায় নিজের কাছে
এই বেশ ভালো আছি। বরং ঘুম যেন
ঘর সাজিয়ে রেখেছে আমার জন্য
কনক চাঁপার শয্যায় !
বয়স্ক দিন ছুঁয়ে বাঁচতে চাই এবার
বৃদ্ধ যৌবনের দরজায়।
প্রথম দুটো লেখা খুব ভালো লাগলো-প্রীতম বসাক
উত্তরমুছুনঅনেক ধন্যবাদ।
মুছুন