রবিবার, ২২ মার্চ, ২০২০

মুর্শিদ এ এম

সমকালীন ছোটগল্প 



পূর্বানুমান


আজও পথের পাশে দেখা হল ফুলু আম্মার সঙ্গে। বাতিল দুধের ডিপোর সামনে নতুন টাইলস বসানো ফুটপাথের ওপর বেছানো ফুলুর সংসার। টাইলস গাঁথা শেষ হতে না-হতেই লম্বালম্বি ফুটপাথেবুক চিরে বাইপাস সার্জারি।  ফুলুর সংসারের কিয়দংশ তাই ডিপোর মধ্যে রাখা।
শিউমুরত একটু ঝুঁকে কিছু জিজ্ঞেস করল রোজকার মতো। ফুলু তাকিয়ে থাকল হাঁ করে, শুনতে পেল না।
--উফ! শিউমুরত বিরক্ত হয়ে বড়ো রাস্তার দিকে তাকাল। ঊর্ধশ্বাসে ছুটে যাওয়া যানবাহন, তাদের সম্মিলিত হর্ন-এর তীক্ষ্ণ আওয়াজ, সহ্যকে ছাপিয়ে যাচ্ছে। এত প্রশস্ত রাস্তা, ওয়ান ওয়ে, সামনে কোনো বাধা নেই— তবুও কেন হর্ন বাজিয়ে যেতে হয়, ভেবে পায় না শিউ। এই শব্দ ভেদ করে কারও কথা শোনা দায়। ফুলুর কানের সে তেজ কই আর! শিউএর গলাও ফুরিয়ে এসেছে। গলার চারপাশে সুতো-পেঁচানো ভাঁজ, শিথিল চামড়া। 
আরেকবার চেষ্টা করল শিউ, কী খেলে? খাওয়া হয়েছে? ইশারায় পাঁচ আঙুলের জড়ো করা মুখে তোলা মুদ্রা দেখায় শিউ। সে জানে এরপর কী কী বলতে পারে ফুলু। সারাদিন কেউ তাকে ভিক্ষে দেয়নি। শরীরও বাগে নেই তেমন। মানুষের অন্তর থেকে দয়ামায়া উঠে গেছে। এই জীবন আর বইতে পারে না সে। ওপরঅলা কেন যে তাকে তুলে নেয় না! এগুলো একটাও শিউএর কথার জবাব নয়। ফুলু তার দেহাতি উর্দুর সঙ্গে হিন্দি মিশিয়ে এসব বলে, যাতে শিউএর বুঝতে অসুবিধে না-হয়। শিউ দেহাতি হিন্দি ভেঙে তার কথায় কিছু উর্দুর মিশ্রণ রাখে, যাতে ফুলুর সমস্যা না-হয়।
শিউ লাঠিটা শুইয়ে রেখে উবু হয়ে বসে। ধুতি গুটিয়ে নেয়। পাঞ্জাবির খুঁট মাটি স্পর্শ করে। শাদা পাঞ্জাবিটাকে ময়লা থেকে বাঁচানো তার সাধ্যের বাইরে যেন। বাড়ি ফিরলেই বউমার প্রথম কথা, জামাটা দিয়ে দিন, যা ময়লা করে এনেছেন! কেচে দিই। অলকা এত পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দিত না। একটু মোটাদাগের জীবন যাপন করত। সে চলে যাবার পর পুত্রবধূই ভরসা। শুধু ভরসা নয়, সারাক্ষণ আগলে রাখে শিউকে, মায়ের মতো।

শিউ ব্যাগ থেকে  প্যাকেটে মোড়া শুকনো খাবার রেখে দিল ফুলুর সামনে। ফুলুর চোখ সামান্য উজ্জ্বল হয়ে উঠল রোজকার মতো। হাত কপালে তুলে অভিবাদনের ভঙ্গি করল। মনে মনে বুঝি বলল, খুদা সালামত রখখে সবকো। মেঘ জমে আছে আকাশে। একটা হাওয়া এল দমকা। ফুলুর আপাদমস্তক মলিনবরণ বোরখার প্রান্ত খানিক উড়ে উঠল। শিউ টিভিতে শুনেছে ওয়েদার পূর্বানুমান, নিম্নচাপ ঘণীভূত। আগামী কয়েকদিন প্রবল ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা। শীত লেগে এল তার। উঠতে গিয়েও ফিরে তাকাল ফুলুর দিকে। পিছনের বাতিল ডিপোর দিকে। ওয়েদারের গন্ডগোল হলে বেচারি আম্মা ঠাঁই নেবে কোথায়! শীত ঘুরে এলে তার বউমা যত সহজে তার জন্যে চাদর বার করে দিতে পারে, এর জন্য কী উপায়? ডিপোর মাথায় ছাদ অল্প, মাথা বাঁচলেও দেয়াল নেই। ঝড় আটকাবে কীভাবে! নাহ, একটা কম্বল এনে দিতে হবে যে কোনো উপায়ে। আবার একবলক তীব্র হর্নের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সের হুটার মিলেমিশে শিউএর মগজ ঘেঁটে দিল।

বাড়িতে ফিরতে অন্ধকার হয়ে এল। ঘরে তুমুল আওয়াজ। কী ব্যাপার, এত হই হই তো আগে হয়নি এ-বাড়ি। ছেলে ফিরেছে অবশ্যই। এ কি তারই উল্লাসের শব্দ? শিউ গলায় মিথ্যে কাশি এনে জানান দেয়, আমি এসেছি।
সঙ্গে সঙ্গেই আওয়াজটা কমে আসে। দ্রুত ছুটে আসে বউমা—বাবুজি, এতক্ষণ কোথায় ছিলেন, আমরা ভেবে মরছি!
--কেন। দূরে কোথাও তো যাইনি বেটি। তা দুশ্চিন্তাটা কিসের?
--আপনি রেস্ট নিন, বলছি। এখন কী দেব, ফ্রুটজুস খাবেন, না ভেজানো চিঁড়ে? একটা লাড্ডু দেব কিন্তু, খেতে হবে।
--পুজোটা সেরে নিই আগে।
বউমা মাথা নেড়ে জানায়, ঠিক আছে। তারপর চলে যায়
--অনুজেশ, অনুজ বেটা—ছেলেকে ডাক দেয় শিউ।

অনুজ কাছে আসে বাবার। মুখের জ্বলজ্বলে ভাব তখনও মিলিয়ে যায়নি, কুছ কাম হ্যায় বাবুজি?
আপাদমস্তক ছেলেকে দেখে শিউ। অনুজের মাথা এখন বেশ উন্নত। আগে সামনে এলে নতমস্তকে থাকত। ওটা এ পরিবারের নীতি-নিয়মের মধ্যে পড়ে। অনুজ কি তার মায়ের অবর্তমানে ধীরে ধীরে উদ্ধত হয়ে উঠছে! নাকি বিয়ের বয়েস বেড়ে গেলে এরকমটা হতে হয়? কই সে তো কখনও এমন হয়নি!  বাবার মন পড়তে পেরে যেন ঈষৎ বিরক্ত ভঙিতে ফের বলে অনুজ, কিছু বলবেন বাবুজি?
--বলছি, একটু যেন হই-চইএর আভাস পেলাম। খারাপ নয়, কিন্তু কারণটা জানা দরকার অন্তত।
--বাবুজি পুলুয়ামা। জানতে হ্যাঁয় না আপ, হামলোগ বদলা লে লিয়া! বদলা! সহসা শিউএর হাতদুটো জড়িয়ে ধরে অনুজ। আবেগে, উত্তেজনায়-- তারই জোশ বাবুজি। পুরা মহল্লা আজ নাচছে, গাইছে, লাড্ডু,প্রসাদ... আজ সারারাত্তির শ্রীহনুমানজির মন্দিরে বন্দনা হবে, পূজা-পাঠ।
একটু দম নেয় অনুজ। বাবার মধ্যে কোনো আলোড়ন না-দেখতে পেয়ে সম্মতি ভেবে নিয়ে আবার বলে, এবার শালে হারামজাদোঁ দেশদ্রোহীদের ঠিকানা দেখানোর পালা। অনুজ শিউএর চোখ থেকে চোখ সরায় না।

সন্তানের মুখে নোংরা শব্দ কবে শুনেছে মনে করতে পারল না শিউ। একটা সজোর থাপ্পড় এর উচিত প্রাপ্য ছিল। শিউ হাত তুলল না। হয়তো চাইল না। একটু গর্বের হাসি যেন ভেতরে তৈরি হল। একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক পুত্রের এ-ধরনের আবেগকে কি অসংযত বলা যায়? শিউএর মনে পড়ে, কলেজজীবনে সে-ও এন সি সি-তে যোগ দিয়েছিল। ভবিষ্যতে দেশের হয়ে লড়াইএ অংশ নেবে বলে। সি সার্টিফিকেটও পাস করেছিল।
--আমরা এবার গদ্দারগুলোর মুন্ডু কেটে কেটে নিকেশ করে দেবো এই দেশ থেকে! বিয়াল্লিশের বদলা বিয়াল্লিশ হাজার! অনুজের কণ্ঠ এবার শিউএর কানে পূর্বতন কর্কশ চিৎকারে বদলে যায়। শিউ ছেলের পিঠে হাত রাখে। কোনো উৎসাহ ছিল না সেই স্পর্শে। অনুজ শান্ত হল। উঠে পড়ল শিউ। বলল, বউমাকে বলো, পূজায় বসব।
পুজোতে মন বসছে না নিত্যসেবক শিউ-এর। কোথাও একটা লণ্ডভণ্ড আওয়াজ তীব্র বিরোধ তৈরি করছে মনের গভীরে। পাশে বসে পুত্রবধূ হনুমান চালিশা পাঠ করছে দুলে দুলে। সেখানে ভক্তির কোনো অভাব নেই। শুধু এই সময়টুকুর জন্যে সে তার বস্ত্রও পালটে নেয়। আগে তা করতেন তার শাশুড়ি।

হঠা তীক্ষ্ণ বোমার শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। থমকে যায় শিউএর অঞ্জলি। পুত্রবধূর পাঠ।
--অনুজ কোথায়? অস্পষ্ট কণ্ঠে  আর্ত জিজ্ঞাসা ফুটে ওঠে।
-- বেরিয়ে গেল তো, দাঙ্গা লেগে গেল না কি বাবুজি? কী হবে এখন? কান্নাভেজা গলায় বলল বউমা। সে এতদিন দাঙ্গার গল্প শুনে এসেছে, কাটাকাটিতে তাদের জাতের কত লোককে মেরে ফেলেছে ভিন জাতের লোকেরা— শুনেছে তা-ও। এইবার বোধহয় ঘুরে গেছে হাওয়া!
-- অশুভ বোলো না মা। দাঙ্গার কথা মুখে এনো না। সে যে কী ভয়ংকর, জানো না। ভাবছ, দাঙ্গা হলে কোনো একটা ধর্মের লোক মরে? না রে মা, এই ভাবনা ঠিক নয়...
--এটা তো ঠিক, ওদের বাড়াবাড়ি অসহ্য! আপনিই তো বলতেন, দিনের মধ্যে পাঁচ ছ-বার শয়ে শয়ে মাইকের চিৎকার, যখন-তখন আর্মস নিয়ে জুলুস, রাস্তা আটকে প্রেয়ার করা... এ-দেশের আইন-কানুনের কোনো তোয়াক্কা করেছে কোনোদিন?
-- বউমা! মৃদু ধমক মুখ ছিটকে বেরিয়ে আসে। ঠিক তখনই দুটি গুলির শব্দ। অদ্ভুত আওয়াজ করে ওঠে পুত্রবধূ। আতঙ্কে ছটফট করে।
--শান্ত হও মা।
--পারছি না বাবুজি। আপনার ছেলে বাইরে রয়েছে... দরজা জানালাগুলো বন্ধ করে দেবো, যদি কেউ গুলি চালায়? খোলা রাখব বাবুজি, যদি ও এক্ষুনি ফিরে আসে?
--তোমার সামনে পবিত্র দেবতা রয়েছেন, হাতে হনুমানজির স্তবস্ত্রোত্র, আমরা তাঁর পূজায় ছিলাম। তাঁর ওপর আস্থা রাখো বউমা। আমাদের কোনো ক্ষতি হবে না। 
বউমা বাধ্য মেয়ের মতো কোথাও যায় না। কান্নায়, ক্রন্দনের শব্দে ভেঙে পড়ে। শিউ বলে, আমার বোধহয় কোনো চিৎকারই আর সহ্য হয় না।
পুজো অসমাপ্ত রেখেই বারান্দায় এসে বসে শিউ। কান পেতে জানার চেষ্টা করে পূর্বানুমান। প্রকৃতি না মানুষ, কে আনবে দুর্বিপাক! কারা যেন রাস্তার বাতিস্তম্ভের আলোগুলো ভেঙে নিভিয়ে দিল। পথঘাট শান্ত হয়ে আসছে দ্রুত। লোকজনের সন্ত্রস্ত ছুটোছুটির শব্দ। বোমা ফাটছে আবার। গুলি চলছে। শিউ ডাকল, বউমা...
--বাবুজি?
--আমার লাঠিটা আনো তো।
-- সে কী, কোথায় যাবেন এখন?
--কোথাও না। একজনকে খুঁজছি, তার দরকার এই লাঠিটা।
বউমা আদেশ পালন করে। শ্বশুর ঠায় বসে থাকে লাঠি নিয়ে। গলি ধরে কয়েকজন দৌড়ে পালায় এদিক ওদিক তাকিয়ে। অন্ধকারে কাউকে চিনতে পারে না শিউ। তাদের অনুসরণকারীরা এবার থমকে দাঁড়ায় গলিতে।
--কারা ওখানে? চিৎকার করে ওঠে শিউ, ফিরে যাও। নিজের কণ্ঠ নিজের কাছে অজানা মনে হয় তার। অনুসরণকারীরা থমকে দাঁড়িয়ে শিউএর কথা মান্য করে বলে মনে হয়। তাদের হাতে অস্ত্রের ঝলকানি একবার শিউএর মুখে পড়ে। তারা পেছন ফেরে।

একজন খুব চেনা মানুষ অচেনার মতো আসে গলি ধরে। পা টলমল, শরীরে অবসন্নতার চিহ্ন। লোহার গ্রিলের গেট ধরে টাল রাখে সে। শিউ গ্রিলের গেট খুলে দেয়। দুটো ধাপ উঠলেই বারান্দা। সে কিছুতেই পা রাখতে পারে না। শিউ জিজ্ঞাসা করে, অনুজ বেটা, ক’টা নিকেশ করলে?
মাথা তোলে বহু চেষ্টায় অনুজ। কিছু বলতে গেলে কটূ গন্ধ ছেয়ে যায় শিউএর ফুসফুস অবধি। কথা ফোটেই না। হয়তো সমবেত গন্ধ হুড়মুড় করে বেরিয়ে পড়বে এই ভয়ে। তর্জনি তুলে দেখায়, একজন...। তাও আমি একলা না। এবার মুখ খোলে অনুজ, সাত আটজন মিলে, পিটিয়ে, ব্যাটা হারামখোরটাকে...
--ডরপোক, কিড়ে... লাঠি ক্রমাগত চলতে থাকে অনুজের বুকে পিঠে। শিউ একসময় ক্লান্ত হয় কী, অনুজ বাবার পায়ে লুটিয়ে পড়ে কান্নায়, হাউ হাউ করে কাঁদতে থাকে সে। ছেলেকে বুকে নেয় বাবা।
ভোর হতে না-হতেই অকারণ রোজ ঘুম ভেঙে যায় শিউএর। এই বিরক্তিটা সে কিছুতেই মেনে নিতে পারে না। অজস্র মাইকে তীব্র আওয়াজ তুলে একটার পর একটা একই কথা বলে চলে। সবাই তো জানে প্রার্থনার নির্দিষ্ট সময়। তবু রোজ রোজ কেন ডাকতে হয়? এত ফলাও করে বলতে হয় কেন, ঘুম ভালো না প্রার্থনা ভালো? ঘুম ভেঙে গেলে সে গিয়ে উপস্থিত হয় ফুলু আম্মার কাছে। তার সঙ্গে কথা বললে সমস্ত বিরক্তি মুছে যায়। দিনের আলো ফুটে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে তার মনের কোণেও জেগে ওঠে আলো। ফুলু ততক্ষণে অজু করে নিয়েছে। বলে, তুমি আমার আজান, মুয়াজ্জিন। ঠিক ওয়াক্তে তুমি আসো ঘুম ক্ষতি করে। এবার যাও, আমি নামাজে বসি।
শিউ তবু নড়ে না। জিজ্ঞাসা করে, পূর্বানুমান বলছে ঝড়বৃষ্টির কথা। এখানে থাকতে পারবে?
--ও যা-হয় মিলিয়ে দেবে ওপরওয়ালা।
-- তা ঠিক, কিন্তু মানুষের তো দায় থাকে। আমি না-হয় সেটাই করি।
ফুলু আম্মা হাসে শব্দ না-করে। শিউ বুঝতে পারে, প্রাচীন এক সময়ে এই হাসির কদর ছিল যথেষ্ট।
ফুটপাথ ধরে হাঁটে শিউ। ভাঙা কাচ, লোহার পাত ছড়িয়ে আছে ফুটপাথময়। রক্তের দাগ কি এই না-ফোটা আলোয় দেখা যায়! কিন্তু কোথায় ফুলু আম্মা? এই তো তার সংসারের বাতিল দুধের ডিপো! থমকে থাকে শিউ। কাল রাতের দুর্ঘটনায় কি তবে... 
উবু হয়ে লাঠিটাকে শুইয়ে বসে শিউ। হাতের কম্বলটা রাখে কোলের ওপর। এখন চারিপাশে কোনো গর্জন নেই। শিউএর সমস্ত শক্তিও যেন নিঃশেষ করে দিয়ে গেছে গত একটুকরো রাত। একবার প্রাণপণে সে ডাকে, ফুলু আম্মা...। নিশ্চুপ পরিবেশ সে ডাক নিজের কাছে ফিরিয়ে দেয় চিৎকারে-- পুলুওয়ামা... পুলুওয়ামা...

বুকে অসম্ভব এক মোচড় হতেই খেয়াল করল, আজ তো কোনো মাইকের চিৎকার শোনেনি সে। তার ভোরকি গুলিয়ে গেল! নাকি ডাক দেয়ার কেউ নেই! ঘাড় উঁচু করে দোমড়ানো শরীরে একটা ডাকের অপেক্ষায় ব্যাকুল হল শিউমুরত।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন