শনিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২০

জয়া ঘটক

নারী

নরকের দ্বার আজও পাহারা দেয়
পিতা পতি আর পুত্র...  তবুও আবার
নারী হয়েই জন্মাতে চাই... সেই একা
হয়ে যাওয়া সাহসী মেয়েটির জিভ
খুঁজতে চাই... বাগ্মীনিকে যারা চুপ
করিয়ে দিতে চায় তাদের নাম জনতার
সামনে আনতে চাই বারবার...

আবার নারী হয়েই জন্মাতে চাই...


শীত

পড়ে আছে বিধ্বস্ত বরফে ঢাকা মৃতদেহগুলো। কোথাও কুটির পুড়ে গেছে অল্প ওমের জন্য
জ্বালানো সর্বগ্রাসী আগুনে। শীতকালকে আরামের জন্য কি কবি বারবার আহ্বান করেছেন...
শীতকাল কবে আসবে সূর্পণা? না... তিনি তিনমাস শান্তির ঘুম ঘুমাতে চেয়েছিলেন।

কবি এই জীবনের চিতা দেখলে শান্তিতে ঘুমাতে পারবেন না। বিষাদের ফুল শুধু রক্তশূন্য 
সাদা আর হিম মৃত্যুকেই ডেকে আনে। হে শীত... তুমি তিনমাস কেন পাঁচমাসের জন্য
এসো কিন্তু সাথে কিছু রোদ নিয়েও এসো। তাহলে হয়তো এত মৃত্যুর মিছিল দেখতে হবে
না। কবিও নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারবেন।

অল্প ওমের জন্য দেখো জ্বলে গেছে কত শান্তির কুটির...  
সাদা হিম মৃতদেহগুলো পায় না তবুও আগুনের ছোঁয়া...



রূপকথা

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবন যেন একটা বিশাল কালো বিড়াল! 
হাত ধরে নিয়ে যায় রূপকথার দেশে। কত আয়োজন সেখানে!
কখনও চমক! কখনও ভয়! কত সহজে পালটে যায় সব কিছু!
ছবির দেশে ঘুরে ফেরা অবাধে। কোনও বাঁধা নেই সেখানে।
হ্যাঁ রাক্ষস, রাক্ষসী আছে। তবে রাজপুত্র ও রাজকুমারীও তো আছে! 

ওখানে কোনও বাঁধা নেই। ঘুরে বেড়াও মনের আনন্দে। পোশাক
নিয়ে কেউ আঙ্গুল তুলবে না। চোখ রাঙ্গিয়ে শাসাবে না। ঝাঁপিয়ে
পড়বে না কেউ বিচার বিবেচনা না করে।

চলুন অডিয়েন্স ...রূপকথার দেশে যাই।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন