শনিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২০

শুক্লা মালাকার




ক্ষেতমজুর


কাগজ দেকা তাপ্পর কুথা বইলবি!  মুখি বুল্লেই তুর জমিটো হয়ে যাবেক?  কাজে যাবি কিনা বল! নইল্লে উপাসী আর উহার বউ যাবেক।
সরকার থেইক্যে হুই জমিটো বুড়াহকে দিইছিল! পুইসানাই, চইষতে পারে কলাই। পুঞ্চ্যায়েত থিক্যে জেইনে লাও গো খুড়া!
আমি যাব পুঞ্চ্যায়েত! কাগজ দিখাই তে পারিস না, জমির দখলটো চাই। যা ভাগ! কাজ কুইরতে হবেক লাই। মুজুরিটো পাইলে চারদিন শাকভাত খেতি পারতি। জলভাত খা! তুদের জন্য কিছু কুইরবো না আর।

লম্বোদর মাহাতোর চলে যাওয়া পথে বিশ্বের রাগ, ঘৃণা, হতাশা মেশানো দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো ভীম। যে ক-ঘর শবর বেঁচে আছে তাদের  পাট্টার জমিতে দিব্যি ধান ফলে। ঘাম ঝরানো সেই ধান তুলে তারা ভরে দেয় মাহাতোদের উঠোন। মজুরী তুলে সরকারের দেওয়া দুটাকা কিলো দরে চাল কেনে। সঙ্গে নুন আর জল। দিব্যি কেটে যাচ্ছে  জীবন।
ভীমের কঙ্কালসার শরীরের  পাশে বসে বুধনি গভীর শ্বাস ফেলে।
উহাদের সঙ্গে পাইরবিক লাই। বুড়াহগুলান  কাগজ হাত কইরে রাইখ্যে  লাই কেনে?
তুই চুপ যা! হুই বুরুন ঠিকাদার কাগজগুলান পাকা কইরে দিবে বইলে রাইখ্যে দিইছিল, ফিইরে দেয় লাই। উহারা কি কইরবেক?




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন