আয়নাওয়ালা
অশ্রুপথে
হেঁটে যাচ্ছে আয়নাওয়ালা
আমরা মুখ
দেখে নিচ্ছি
আমাদের
মুখের হাসি, চোখের হাসি
বর্ণনা
দিচ্ছে
বর্ণনায়
চমক আছে, গমক আছে
সাধু সাধু
আয়নাওয়ালা
বাল্যকালের নদী বেয়ে
আস্ফালনের
ভেতর দিয়ে হেঁটে আসছে
নীরব
স্রোতে
সময়ের
বিলাসী ময়ূর নাচছে একা
তার পায়ের
ঘুঙুরগুলি হারিয়ে যাচ্ছে
দু’একটি
কুড়িয়ে পেয়ে
আমরা সবাই
নস্টালজিক আহ্লাদে
দ্রুত
হচ্ছি
ভাসিয়ে
দিচ্ছি বসত বাড়ি
মেয়ের
উঠোন, ঘূর্ণিপাখির কিচিরমিচির
আমরা সবাই
জলের কাছে ঝুঁকে যাচ্ছি
নির্জন এক
পিপাসায়
মরসুমি বাগান
ধানক্ষেতের
পাশে শব্দগুচ্ছ
আজ বেশ
মাছ হয়ে যায়
কানকো
তুলে হলুদ ছায়ায়
লুকিয়ে
রাখি কৌতূহল
আড়পাখিদের
শান্ত চাউনি
যদিও
দ্যাখে বাল্যকাল
খেলার ঘরে
মেঘ ঢুকছে
বৃষ্টি
করছে কোলাহল
সমস্ত
কিছুই চন্নমধু
কুসুমিতার
গোল্লাছুট
যেদিক
ইচ্ছে ছুটছে মাঠ
মাঠে মাঠে
জ্যোৎস্নাবন
নতুন পাখি
উড়িয়ে দিচ্ছি
কী সুন্দর
নরম ঠোঁট
ধানগাছের
বিকেলে তার
ঝরে পড়ছে
জলীয় সুর
খুনীস্বপ্ন
ভোরবেলায়
যে স্বপ্নটা এল
তার হাতে
একটা চাকু ছিল
আমি যত
ছুটছিলাম
সেও
ছুটছিল তত—
কিন্তু
স্বপ্নে আর কত ছোটা যাবে?
অবশেষে
স্বপ্নটা খুন করল আমাকে
সেই থেকে
মৃত আমি—
জাগরণে
একটা লাশকে
বয়ে
নিয়ে বেড়াই আজও...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন