টুকরো কথা ...
একমুঠো আলো চাল ফুটে উঠলেই বাতাসময় ভাত ভাত গন্ধ,
অথচ এত সুগন্ধতেও পেটের খিদে মরে না!
আলোকপর্ণার এখনও মনে পরে আকাশকে,
যে আকাশের বনসাই ওর বাঁ বুক জুড়ে!
ল্যাম্পপোস্টের আলোগুলো ঠিক যেন রেনেসাঁসের মতো!
চারপাশে মোটা কাচ দেওয়ালের অভিধানে শুধু দেখা আছে,
শোনা নেই!
রাতের গহ্বর যেন উই'য়ের সংসার! অন্ধকার কুড়ে কুড়ে
খায়!
অন্য মাধুকরী
অনেকদিনের থেতানো জড়তা ও ব্যর্থতা নিয়ে বসে ছিলাম!
স্বভাবতই, কুচি কুচি ধ্বনি-বর্ণ জড়ো করি মাধুকরী
পাত্রে, আঙুলের বৈষম্য ভুলে
হৈমন্তী আঁচে ফুটিয়ে নি অক্ষর খই!
অনুবাদী স্বরগ্রামে এখন অব্যয় শুধু তুই।
ডাকার মতো তেমন কেউ নেই,
তবু যখনই হাঁক দি তখন’ই নিজের কাছেই এসে দাঁড়াই
এই নিমগ্নতার মধ্যে আমি যেন না চাইতেও পাই তোকেই।
বুঝি না এই ছলাৎছল হোঁচট খাওয়ার প্রবণতা কি তোর ও,
না’কি শুধু আমার’ই!
পরবাসী
ধীরে ধীরে ম্লান হয়ে আসে পাতার উল্কিতে আঁকা দিন!
বড্ড ইচ্ছে করে ছুঁতে
কাঁপা কাঁপা, নিভু নিভু আলো
পারি না, আঙুলে আঙুলে কুণ্ঠা যে জড়ানো!
দিনমানের যেটুকু সুর তোমাকে শোনানোর ছিলো,
যে শব্দ উচ্চারণ জমা ছিলো আকণ্ঠ!
সকাল হতে না হতেই সব তা শোনানো ও জানানো শেষ হয়ে
গেলো!
এবার নিঃসঙ্গ সারেঙ্গির সুর ধরে
পর্ণমোচী রোদচাদর গায়ে জড়িয়ে
গুটি গটি পায়ে এগিয়ে যাবো —
কার্তিকের মিহি হিম পড়া সন্ধ্যার দিকে,
দ হয়ে পড়ে থাকা সন্ধ্যা পিরিচে নরম আলো জ্বেলে
পড়নের ধূলো ঝেড়ে, এলো চুল বেঁধে -
নিচু স্বরে শুধু বলি
দূরেতে আছো! মনেতে থাকো, ভালো থাকো!
এ পরবাস আমার হোক’না যতই বিরহিত --
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন