রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৯

সোনালি বেগম




যোগাযোগ


প্রসঙ্গ পালটিয়ে পালটিয়ে দিনযাপন। কোনো ড্রামা-স্কুলের শিক্ষা নয়। এটা জীবন পথের যাত্রা, পজিটিভ থিংকিং। জীবনের ওঠা-পড়ায় শুধু মাত্র সত্যিকারের বন্ধুরাই সঙ্গ দেয়, এটা বুঝতে পেরেছি। অতীতের স্বর্ণময় দিনগুলির উদ্ভাস মাঝে মাঝে জেগে ওঠে। সেদিন দীপালির ফোন পেলাম। ছেলেবেলার বন্ধু। সে এক বিশাল ইতিহাস। আমার ফোন নম্বর জোগাড় করেছে সে। ষাট বছর পার করেও কোনো পরিবর্তন নেই কণ্ঠস্বরে। আমার অর্থাৎ মাধুরীর ক্লোজ ফ্রেন্ডের সংখ্যা ছিল অনেক। সময়ের গতিধারায় তাদের খুঁজে চলেছি কত-কত  দিন। আজ হঠাৎ  জীবনসায়াহ্নে একঝাঁক বাল্যবন্ধু সেই স্কুল দিনের স্মৃতি জাগিয়ে তুলছে। অবাক হচ্ছি। কেউ তো এতোটুকু পাল্টায়নি। সুচন্দ্রা, শ্রীজাতা, সুপর্ণা, অপর্ণা, আরও অনেকেই আমাকে মুগ্ধ করছে। প্রায় প্রত্যেকেই প্রতিষ্ঠিত। আমার মতো সাধারণ একজন মানুষকে তারা প্রত্যেকেই মনে রেখেছে। তাদের ভালোবাসা দিন-দিন আমাকে জীবনমুখী করে তুলছে। লেখিকা কেট লিভার তাঁর বই ‘The Friendship Cure’-এ এক জায়গায় যথার্থই বলেছেন ‘The only way we can end this era of acute loneliness is to start a new era of proper living, restorative camaraderie between human beings. It means revival of friendship...

ঝোর বৃষ্টি হচ্ছে আজ। সাউথ আফ্রিকার ভিকটোরিয়া লেক খুব মনে পড়ছে। কোনো এক বর্ষার সন্ধ্যায় খুব ভিজে  ছিলাম সেখানে। স্মৃতির  চাদর সরিয়ে বেরিয়ে আসছে পোষা বেড়াল মোহিনী। আর তার তিনটি নধর বাচ্চা বাজনা, ভোমা, টট্টরি শিউলিগাছে ওঠানামা করতে শিখছে। বেগুনগাছে টুনটুনি পাখির বাসা। পেয়ারা গাছে শালিখের বাসা। মোহিনী পেয়ারা গাছে তরতর করে উপরে ওঠে যাচ্ছে। নিমগাছের ডালে কাঠের পাটাতন আর দড়িবাঁধা দোলনায় দুলছি আমরা কয়েকজন বন্ধু।

জীবন নিজে-নিজেই গ্রহণ-বর্জন করে বোধহয়। আমরা তো পথিক, পথের খোঁজে বেরিয়ে পড়েছি।  

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন