শেষের সংলাপে
(১)
আমরা গিয়ে চলেছি দুঃসময়ের পিঞ্জরে ভালোবাসার গান
পবিত্র ধর্মগ্রন্থের ভেতর জমে আছে রক্ত বমি
কিংবা তাঁর ক্ষুরধার নোখ
আমাদের চামড়া থেকে তুলে নিচ্ছে
জীবন্ত সব তমসুক
(২)
আপাতত রক্তের ঘরে সাজিয়ে তুলছি
অপরাহ্ণের বর্ণমালা
এখন সব উজ্জ্বল হৃদয়ের হাতে হাত পোড়া মুখ
এখন সব রাত্রির প্রলাপে
আমাদের বিপর্যস্ত করে তোলা
ভয় হয় বেঁচে থাকতে
কোন কুস্তিগীর বাতাসের খাতে মিশিয়ে গেছে অসুখী
বিভাব,
কোন কল্পনা নেই বিশ্বাসের জলে যে আমাদের চিহ্নিত
করবে আমরা মৃত নই
পর্ব
বড় বিশ্রী হয়ে যাচ্ছে সাজ
বড়ই বিশ্রী হয়ে যাচ্ছে কাগজের কুচি
যখন শিকড়ের টানে কোন এক অন্ধের প্ররোচনায়
খুঁটিয়ে তুলবে দাঁতাল মুখ
আবারো ট্রাকভর্তি গল্পের ভেতর
ছেয়ে ফেলবে অস্ফুট অসুখ
তৃতীয় বিশ্ব
সেলাই
মেশিনটার গায়ে হাত রেখে ভুলে গেছি
খেদ
কোন কষ্ট হয়নি
একলা
পুড়ে যেতে যেতে কাঠ কয়লার তপ্ত বারুদ ভাসিয়ে দিচ্ছিল
এক
প্রাথমিক ক্লাসঘর
আমাদের
মেয়েরা সেখানে থাকে
আমার
ছেলেরা সেখানে ঘুমোয়
এখানেই...
ঠিক
এখানেই বাঁচে আমাদের পরিবার
বুকের ওপর
গেঁথে আছে এক অদৃশ্য ছুরি
আমরা সেই
রক্তের স্বাদ নিই
আমরা সেই
ঘামের অহংকার বুঝি
যার
স্পর্শ ঘিরে সমস্ত পচনে জেগে থাকে রাত
কয়েক
হাজার মানুষ আমাদের সাথে কথা বলে
কয়েক লাখ
মানুষ মুমূর্ষু গাছেদের পেছনে
আমাদের
গল্প শোনায়
কয়েক
কোটি মানুষ আমাদের টিভি কিংবা
খবরের
কাগজে রাত দিন ক্লান্ত করে চলে
আমরা
লজ্জায়-ঘৃণায় হাঁটা শুরু করি
আমরা
হিংসে করি নিজেদের জন্মানোর দায়ে নিজেদের অন্তরায়
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন