মোম চেতনায়
মোম চেতনায় বিরহ জ্বলে যাচ্ছে
অথচ ফাগুন হাওয়ায়
তুমি চুল এলিয়ে বসে আছো।
অনেক বকুল ঝরে গেছে,
মালা গাঁথার কথা তুমি ভুলে গেছো।
এখন আলোক বিরহে
তোমার চোখ নাক মুখ
দূরের ধুসর ছবি হযে যাচ্ছে।
অবৈধতার ছাপ
দোপাটি খুলে যাচ্ছে--
বয়সের রন্ধ্রগুলি হাঁ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে,
শিথিল শরীরের মাঝে তবু কোথাও চেতন বেঁচে আছে বুঝি।
বুড়োটার ছুঁয়ে যাওয়া হাত তুমি মানতে পারো না--
অথচ ঠান্ডা হ্যান্ডেলের ছুতোয়, বয়সের দামড়াগুলি উঁচিয়ে আছে
মাথা--
তুমি চৈতন্যের মাঝে থেকে গেছো--
তোমার ডি এন এ ক্যালচারে অন্য একটা মানুষ ঢুকে যাবার প্রয়াসে
গবেষণায় লিপ্ত আছে।
একদিন এক ব্যতিক্রমী, নিষিদ্ধ পল্লী ছুঁয়ে যাবে
রশূন পেঁয়াজ ও মাংসের গন্ধ,
তুমি নাক চেপে তবু চেটে নিচ্ছ রসাস্বাদন।
উঁনান পোড়া শুদ্ধ সে লাল মাটিতে হাড়িয়া জাল পড়ছে।
কিছু উলঙ্গ মানুষের নৃত্য থেকে বিচিত্র সব কীট বেরিয়ে আসছে!
অবৈধতার ছাপ নিয়ে তার অর্ধ মানুষের আকৃতি
নিজেদের ত্যাগী বলে সোচ্চার করে যাচ্ছে।
প্রাগৈতিহাসিক
প্রাগৈতিহাসিক কথা যত প্রাচীন হোক না কেন
নির্ঘুম রাত্রে আবার তা ফিরে আসতে পারে।
নগ্নতা ঢাকা থাকে অন্ধকার পরিচ্ছদে,
সমস্ত রঙে জাঁকজমক একাকার হয়ে
আবার সেই অন্ধকার।
পুরুষের কবলে আপনি আপনি
একটা নারী জেগে উঠতে পারে।
অরণ্য জ্যোৎস্নায় এক মায়াপুর উঠে আসে,
রচিত হয় আর এক প্রাগৈতিহাসিকতা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন