রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

পৃথা রায় চৌধুরী




সাধারণতঃ  

ঠিক সেভাবে স্বরলিপি কুচি কুড়িয়ে
তোমার জন্য হারমোনিয়াম রিডে
গড়ে তুলি ছিনতাইকারী চাঁদের
গোথিক আবেগ।

সেই একইভাবে শালুক নির্জনে
আঘাত করে যাই স্বশর্তে
নিজেকে ছলনা করার কূটকৌশল;

অসমাপ্ত কুমকুমের পরিধি
মুছে যায় হৈমন্তী পাঁজরে
নিরুত্তাপ,
অনুবাদী সন্ধ্যেরাত শেখায়
ভুল অঙ্ক কষেও হিসেব মেলানো যায়।

সেভাবেই, সেভাবেই
যেভাবে রাত নুড়ি কুড়োয়
শ্যামলা সিঁদুর, কালচে শাঁখা
শিব সন্ধানে।

আগম

মাঝে মাঝে তোমার অবুঝে ঢুকে
বেরোবার রাস্তা খুঁজে পাই না
হয়তো বেরোতে চাই না
যতই বলো, অজ্ঞাতই ভালো ছিলাম
তবু, তোমায় জড়িয়ে বর্তে গেছি
বুকের ভেতরে ছলাৎছল হয়ে বেঁচে থাকি
তোমার হোঁচট খাওয়া অস্বাভাবিকতা।

গন্তব্যহীন ছোটার পাকা সড়ক, গলিপথ
হোক ফুটপাথ, সাবওয়ে, ওভারব্রিজ
সব ধরে পৌঁছে যাও তোমার
ঘোর লাগা দুর্গমে।

অক্ষত পুরুষ কৌমার্য দীপ্তির দোহাই তুলে
সন্ন্যাসী বেশে কষ্টকমণ্ডলু সঙ্গী করো
সেইরূপে তুমি আগুন, বন্যা, খরা, ভূমিকম্প,
সিংহগর্জন, শানানো তরোয়াল,
ফাঁসুড়ের ভাবলেশহীন ফাঁস,
ভয়ঙ্কর জিয়নকাঠি মৃত্যুচুম্বক।

অনন্ত চন্দ্রগ্রহণ পেরিয়ে
একমাত্র নয়, শুধুমাত্রই তুমি
ছুঁয়েছ সেই নিরাপত্তাঘেরা
বাধ্য শুচিতা।

কৃত্রিম শ্বাস অযান্ত্রিক

উদ্যত কুঠার হাতে ভেবে নেওয়া যায়, হাজার বিষিয়ে ওঠা ক্ষত মুখের আর্তি
ভাবো, তুমি তাই ভাবো, আর আমি পরে থাকি শোক;

শরীর কামড়ে থাকে যে বর্ম, তাকে দিই পুঁজরক্ত ক্লেশ মাখার দায়
নুনছাল থেকে তৈরি করে রাখি প্রাণপুতুল, মুখে তুলে দিই সঞ্জীবনী।
যে মুহূর্তে তুমি ঘৃণায় শিউরে ওঠো, উথলে যায় আমার টইটম্বুর তেজস্ক্রিয়তা।

রাস্তার ধারে মৃত্যুপথযাত্রী দেখে আতঙ্কে বন্ধ করো জানালা।
হাত ধরেছি তার...

জয়ের হিমোস্ট্যাসিস শেষে এখনই নফ্লেমেশান, শরীরে অটো ইমিউনিটি;
তোমাকে দিয়েছি পোষ্যক্ষতদের সাথে বাস করার অভিনব জীবন।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন