রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

শ্রাবণী সিংহ




অন্ধ জাতিস্মরের বাগান

রেহেলে
 উড়ে ধর্মগ্রন্থের পাতা,
ময়দানে
 ভুর্জপত্র...

তাচ্ছিল্যের
 ছেঁড়া ছেঁড়া ফুল
পালকের
 মত উড়ে
তারা
 যেন ব্যথার চরাচরে
একটুখানি
সরেসগান....

সব
 সাঁকো একদিন নদীতে মিশে যায়
সব
 পাতাই নৌকো যেন সব।

আমার
 ভেতর যে অন্ধ জাতিস্মর
বিহুনাচের
 ফুল ছড়িয়ে
শুয়ে
 থাকে উপুড় 
আঙিনায়
মুক্ত
 কারিগর সে-ই।


চাঁদের লবণপাহাড়

চাঁদের
 লবণপাহাড়ে ঘাস খেতে আসে 
মহীনের
 ঘোড়াগুলো।প্ল্যাকার্ডের মত সেঁটে থাকে 
তখন
 জোত্স্নারঙ প্যালিওলিথিক স্তব্ধতায়...

সবটাই
 বুঝি এদের অথবা কিছুই বুঝি না।

দুস্প্রাপ্য
 বইয়ের ঘ্রাণ নিলেও আমি' অহম সাজ কিছুটা খসে যায়, 
যান্ত্রিক
 স্তর পেরিয়ে গেলে ঘোড়ার জাবনা দিতে আসা 
মেয়েটির
 মতই নিষ্পাপ, পবিত্র সব!
আমি'ত্ব
 থেকে সামান্য আলাদা হয়ে যেতেই পার্থক্য বুঝি--
জল
 থেকে মাটি
ঈর্ষার
 থেকে লবণ
ছলনা
 থেকে দেবতার।


গ্রহণ আলোয়

রেটিনার
 মৃত্যু হয় না সহজে।
অন্ধের
 আলো প্রতিফলিত হয় যে বন্ধঘরে--
তার
 নাম চোখ,

এক
 কাঁচ-রঙ বিকেলে 
বলয়গ্রাস
 গ্রহণ আলোয় তাকে দেখি।
অন্ধকারে
 পরস্পরের মুখের জিওগ্রাফিতে মুখোমুখি, ভীত হই...
এই
 আয়নায় বেঁচে গেলে মরে যাই বারংবার।




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন