প্রৌঢ়বয়সী রোদ
জন্মের ভেতর ভোর হচ্ছে
কাঁটাতারের মধ্যে প্রেমিকের
মতো মুখ অনাবিল কইবা চিনেছি তাকে!
এখনো প্রজাপতি ওড়ার মতো রোদ ওঠেনি, হয়ত উঠবেও না
আজ বৈকালে আমার জ্বর আসবে বলে জল পায়ে কেউ উঠোন ডিঙিয়ে এলো,
আত্মীয় বলতে একটি কুকুর পায়ে পায়ে লেপটে রয়েছে
তাকে ছুঁয়েই ওম
হসন্ত! আমার তো যৌবন গিয়েছে!
এখন ভাগের হাঁড়ি মারামারি শকড়ি আর শিকড়ের মধ্যে নিস্তেজ হয়ে শুয়ে আছি
আমার মৃত্যুর অপেক্ষায় কেউ ভালবাসার কথা লিখেছিল
যতবার আগুন ছুঁয়েছি ততবার তার সামান্য স্পর্শটুকু কপাল থেকে মুছিয়ে দিয়েছে
ঘাম
এই ফুটে ফুটে ওঠা আলো! আমি তো দেখিনি আত্মার বর্ণ সাদা না
রঙিন!
নিদান
আজীবন ঘেন্নার জীবনে বাস
এখন অসময় নিঝুম বিকেল ওঠাপড়া নেই
চারিদিকে নল পাহারায় জেগে আছে
এখন এসো না আর
কাল রাতে বৃষ্টি হয়েছিল
শরীরের কোষে কোষে জলের জোয়ার
চাঁদ নিভলে আঁকশি হাতে সে আসবে
যতটুকু আলো পাওয়া যায়, বনিবনার কথা
লিখে রাখা ভালো।
নিমদাঁতন
কার কার আয়ু খেয়ে বসে আছি! বেড়ে উঠি ফনফনে
গাছের মতো
বাড়তে বাড়তে ছাদ ছুঁয়ে ফেলি ছুঁতে ছুঁতে হাড়েও বাতাস লাগে
এই নখ দাঁত ত্বক চুল পুড়ে যাওয়া উচিত কেন আয়ু! চোখের সামনে দিয়ে যারা
মরে গেলো তাদের হাড় থেকে মাস বেছে
তিলেতিলে জড়ো করেছি দিন
কোথাও অপ্রতুল আলো
বাতাস বিচ্ছিন্ন ভারী
গভীরে মৃত্যুর প্ররোচনা
তবু বেঁচে থাকা জলের মতন নিবিড়
কানাইকাকু! দ্যাখো কারকার আয়ুরেখা খেয়ে
কীভাবে যে বেঁচে আছি!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন