লুকোচুরি
মাঠে লুকোচুরি খেলছিলাম রুপাই আর রুপলের সাথে
আমি ঘুরিয়ে কথা বলতে ভালোবাসি
মনে আঘাত দিতে পারি না
তাই কলমটা রোজ শানাই আঘাত দেব বলে
ওদিকে ঘর পোড়া তিনটে পাটরাণী
পূর্ণিমা রাতে করুণাবশতঃ দিগ্ভ্রান্ত হয়
আমার হাত ধরে রোমের গলিতে রোমান্স নামায়।
আমিও লুকোচুরি রেখে জয়দেব সেজে গীতগোবিন্দ নিয়ে বসি।
কবিদের লড়াই
একে চন্দ্র দুয়ে পক্ষ তিনে নেত্র বলে থমকে যাই
আসলে সবই কবিদের লড়াই
তারই মধ্যে যারা বেশি জাঁকজমকে যায় না
একটু আগলে রাখতে চায় তাদের স্নেহ বেশি
তার মধ্যে ঢুকে পড়েছে ব্যাঘ্রচর্মধারী শেয়াল
বরাবর ভালোবাসা দেখাতে একমাত্র সক্ষম জন্মান্তরী
শুদ্ধাচারী মহাত্মা, চোখে আঙুল দেখিয়ে
পাপীকে ধরিয়ে দেয় পৃথিবীর কাছে
আসলে নিজের জায়গায় নিজের টিকে থাকার চেষ্টা
সেই চেষ্টায় আসবো না বলেও নিজের মৃত্যু ডেকে আনি
অত:পর যে যার নিজের শব পাহারা দিই
রুপালিদিদি কাল থেকে বিন্দাস হব।
কল্পলোকের কবিতা
ছাতাতে উপচিয়ে ওঠে বৃষ্টি
ছাতা তবু খোলে না
ইন্দ্রের অভিশাপ থেকে
ব্রজবাসীদের বাঁচানোর কৃষ্ণ কই?
গোবর্ধন পাহাড়ই এবার ছাতা হয়ে
মাথার উপরে ঝুলবে কৃষ্ণের আঙুল ছাড়াই।
পাহাড়ের মাথায় অজস্র ভেকধারী প্রেমিক
যারা না কি জীবনে মেয়ে দেখে নি
এখনো না কি দেখে না, খালি অপেক্ষায় আছে
ভীষণভাবে কল্পলোকের কবিতা লেখার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন