আগুন মুখ
তোমার আগুন মুখ দেখি
লৌহ কারাগার ভেঙে ফেলে সে প্রেমিক তার শেষ চুম্বন দিতে ছুটেছে--
সে জানে, তারপর ফাঁসিকাঠ ঝুলবে তার গলে।
সে জানে চার শ বিশ ভোল্ট বৈদ্যুতিক শরীর কেঁপে উঠবে--
এক যৌনমুখ ক্রমশ একটু একটু করে প্রকাশিত হবে।
শেষ বসন্তের লাল কৃষ্ণচূড়া কিংবা পলাশের ঠোঁটে তখনও চুয়াচন্দন ছুঁয়ে যায়।
মেঠো ঘ্রাণ মাটির শোষণে প্ৰথম বর্ষার জল সোঁদা গন্ধ নিয়ে আসে।
তুমি ক্রমশ ডাঁসা থেকে আস্তে আস্তে রসভরি হয়ে উঠছ !
প্রচণ্ড চুমুকে শুষে নিতে হচ্ছে হয় রসনা
ঘ্রাণের মাঝে ম ম মাছিঝাঁক উতলা হতে থাকে
বাতাসে কাঁঠালি চাঁপার গন্ধ ভাসে--তারই আড়ে এক প্রেমিক লুকিয়ে থাকে
তোমার স্নাত শরীর থেকে প্রসাধনী গন্ধ বয়,
শ্লথ বসনের ভাঁজে ভাঁজে কামনার ধোঁয়া ওড়ে।
এক জোর প্রেমিক-প্রেমিকার সহবাস শীৎকার ওঠে।
তার মাঝে একটা রেলগাড়ি অনায়াস লাইন ভেঙে এগিয়ে যাচ্ছে বাসভূমির দিকে।
কানামাছি
আসলে যা কিছু তোমার, তা তোমার নয়,
তোমার কিছুই করণীয় থাকে না
তুমি বললে, তাহলে গান ধরো না সেই, তোমার কর্ম তুমি কর মা--...
তবু ধর্ম কেন ভাঙে ?
ভগবানও তা হলে কি চরিত্রবান চরিত্রহীনতার মাঝ দিয়েই বেড়ে উঠছে !
সহস্র পাপাচারের মাঝে এসে তুমি বলো, দেখো,
প্রভু ওর মুণ্ড যেন প্রথামত খড়্গের একাঘাতে মাটিতে লুটায়--
ওরা এগিয়ে যায়।
সর্ব কর্মের অধিপতি তখন চোখে পট্টি বেঁধে কানামাছি খেলে
নিজের শরীর থেকে সে টুকরো টুকরো অংশ ছড়িয়ে দেয়--
শিব দুর্গা কালী করালী হয়ে ওরা সং সেজে খেলা করে
আর অন্যদিকে ওরা এগিয়ে যায়--একটি একাকীত্ব নারীত্ব ধুলায় লুন্ঠিত হয়--
সে চিৎকার করে ওঠে, বাঁচাও বাঁচাও--
কেউ তখন শোনে না--কারণ স্বর্গের রঙ্গমঞ্চে তখন
ভগবান টুকরো টুকরো হয়ে কানামাছি খেলে বেড়াচ্ছে !
তোমার কিছুই করণীয় থাকে না
তুমি বললে, তাহলে গান ধরো না সেই, তোমার কর্ম তুমি কর মা--...
তবু ধর্ম কেন ভাঙে ?
ভগবানও তা হলে কি চরিত্রবান চরিত্রহীনতার মাঝ দিয়েই বেড়ে উঠছে !
সহস্র পাপাচারের মাঝে এসে তুমি বলো, দেখো,
প্রভু ওর মুণ্ড যেন প্রথামত খড়্গের একাঘাতে মাটিতে লুটায়--
ওরা এগিয়ে যায়।
সর্ব কর্মের অধিপতি তখন চোখে পট্টি বেঁধে কানামাছি খেলে
নিজের শরীর থেকে সে টুকরো টুকরো অংশ ছড়িয়ে দেয়--
শিব দুর্গা কালী করালী হয়ে ওরা সং সেজে খেলা করে
আর অন্যদিকে ওরা এগিয়ে যায়--একটি একাকীত্ব নারীত্ব ধুলায় লুন্ঠিত হয়--
সে চিৎকার করে ওঠে, বাঁচাও বাঁচাও--
কেউ তখন শোনে না--কারণ স্বর্গের রঙ্গমঞ্চে তখন
ভগবান টুকরো টুকরো হয়ে কানামাছি খেলে বেড়াচ্ছে !
চুলকানি
চুলকানির মধ্যে থেকে একটা আরাম উঠে আসে।
তুমি বললে, ভালোবাসায় গা ছুঁতে নেই--
আমি বলি, আগে পরখ করি, ছুঁয়ে দেখি কতটা ওমউৎস তোমার শরীর।
তুমি বললে, মোহ অন্ধকার ছুঁয়ে থাকে--
ভালো লাগার পর্যায়ে তাই বুঝি তুমি অন্ধ !
অন্ধকার হাতড়ে তোমার এক ফাঁকদেহে দেখি আমার লেগে থাকা শরীর।
তুমি বললে, আমি দেহ চাই না--তাহলে যে ভালবাসায় পুড়ে ছাই হবে--
আমি বললাম, ছাই হবার আগে আমি তুলে আনবো তোমার লাল গনগনে শরীর,
তারপর কামারের পেটানো লৌহদণ্ড ঠুকে ঠুকে
পরখ হবে কতটা অপাপবিদ্ধ শরীর তোমার!
আর সুইচ টিপেই বেরিয়ে আসবে গনগনে লাভাঢেউ।
ঘুমের আগে তুমি পড়ে আছ--
ভালোবাসার একটা উথলে ওঠা শরীর ক্রমশ নির্লিপ্ততায় ঢলে যাচ্ছে ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন