বৃহস্পতিবার, ১ আগস্ট, ২০১৯

সৌমনা দাশগুপ্ত




প্রতিধ্বনি


(১)

সেই সিঁড়ি সেই মূর্তির ধাতব চিৎকার
ছুঁয়ে শুধু প্রতিধ্বনি খুঁজে গেছ
ছুটে গেছ বারবার মূর্তির কাছে
মাত্র চিৎকারটুকু ছুঁয়ে
আবারও খুঁজেছ প্রতিধ্বনি
দেয়ালে ধাক্কা খেয়ে ফিরেছ তুমিই
শুধু কি দেয়াল
শুধুই আয়না
মূর্তির হাড়গোড় পড়ে আছে
আয়নাতে 
হাড়ের ভেতর থেকে রজরস
মজ্জা ও হাওয়া
ছায়ার ভেতর খোঁজ
দস্তার মুখোশ
উঁহু
ঘর নয়
চারচৌকো আয়নায় দেয়াল
তোমার মুখোশ শুধু বেঁকেচুরে যায়
তোমার মিথ্যেটুকু বেঁকেচুরে যায়

(২)

ধুলো লেগে যাবে গলার স্বরে
আর অস্তিত্বহীন এই মুখের
চিৎকার
আর কেউ শুনতেই পাবে না
আসলে স্বরই ছিল না
শুধু তরল ছায়ায় ডুবে গেছ
হয়ত সে চিৎকার ছিল
কোনও প্রত্ন শব্দের
কিংবা হারিয়ে ফেলা ভাষার
অন্ধতা লেগে যাচ্ছে চোখের পাতায়
ওপেক অথচ মৃদু
এক বর্ণমালা একা একাই
লিখে রাখছে এ ব্যাকরণ
জীবনের শান্ত ও নির্মেদ
চামড়ায় ধুলো ও ধোঁয়ায়
আঁচড়  কিছু
কিছুটা নির্জন আকাশ
বেশি কিছু নয়
একটা বোবা কোলাহল
নীল থেকে বেগুনি
তোমার কানের পর্দায়
শুধু শব্দের ছায়া
হেঁটে যাচ্ছে রাতের ভেতরে

(৩)

হালকা শব্দ করেই ব্যথাহীন
মরে যাবে কোলাহল
ভিজে ছায়া
নির্জনতার গাঢ় ছাই
ঝরে পড়বে চোখের পাতায়
প্রতিধ্বনির জন্য আরও সজাগ
হয়ে উঠবে এই পিয়ানো
আর ছাইয়ের কার্পেটের ভেতর
এক ছায়া চুপচাপ
শুরু নয় শেষ নয়
বাতি জ্বালিয়ো না
কিছু শব্দ
অপ্রচলিত ও মৃদু
এবার উঠে আসছে
তাদের জ্বলন্ত হৃদয়পিন্ড
এই অন্ধকারে
এই প্রহেলিকায়
বাঙ্কারের স্তব্ধতা থেকে
উঠে এসে ভাষার ভেতরে
হালকা কম্পন তুলে দেবে
এই কথাহীন বার্তা
এই নিঃশব্দ ঢেউ
চলে যাবে প্রতিধ্বনির দিকে












কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন