আবছা ব্রেকফেল
(৫)
আমি তো যেতেই চাইনি। শুনে
রাস্তা আলাদা হয়ে গেল। রাগ নাকি? বন্ধুরা আলাদা হলেও ডাকে, স্টেশনের প্রতীক্ষা
মিশিয়ে। করুণা টপকে সেই ডাক ভোর ভোর। শিশিরচমকভাঙা, যেন আর একটা জীবন হবেনা।
মরীয়া। জাল জাল কুয়াশার নেট প্র্যাকটিস তখন। ডাক জড়িয়ে যাচ্ছে বিশ্রামে। অবসান যদি
ভোর হয়, বাহানা তবে কী? ছুঁয়ে দেখো আমায়। হাত ভরে উঠছে আদরজড়ানো ফুলের গ্রন্থিতে।
অঞ্জলি? নাম আর ডাকের ভেতরেই পড়ে আছে অবসান শব্দটা। ঝরে পড়া শ্রান্ত মুহূর্ত,
শব্দটা।
ঠোঁট ভিন্ন, তাই বলাও। আর ডাকল
কখন, বনের গান তাকে বনের ভাবনা দিয়েছে, তখন। বন্ধুরা বন্ধুর থেকে আলাদা হয়ে
যাচ্ছে, তখনই
কথা শেষ। চলে যাচ্ছি। দরজা খুললাম,
বাইরে অরুণ দাঁড়িয়ে…
(৬)
উড়ে যাওয়ার পরেই পাখি হলাম।
সারংশময় এক সাঁতারু আকাশের। তুমি যাওয়ার পরেই। ডানা বৈষ্ণব, ঠোঁট শাক্ত পদাবলী।
কখন তুমি চলে গিয়েছ কে জানে, শুধু বৃষ্টি বেজেছিল পায়ের পাতার মতন, লিখেই ভেজা
বাইলেনে কে যেন, ডাকল। বৃষ্টিফেরার ডাক। চলে গেল ট্রামের মাথায় জড়িয়ে। এই ‘মিয়াঁ’
তো ওই ‘মালহার’ চা ফুটছে। রাস্তার আর কি, জল চুষবে। আকাশ বদলাচ্ছে, তাই।
পাখি হয়েই ডানা ঝাড়লাম। হাত ডানার কবরে শুয়ে আছে। তুমি
হাতের ব্যবহার নিয়ে বলতে।কত পুরনো আমাদের সভ্যতা, বলতে।তোমার বুকে আমি একটা শব্দ
আর একটা গন্ধ পেতাম। গন্ধটা হিমনাশক। শব্দটা পাল্কির। হু হুমনা হু হুমনা.. অসভ্য,
বলতে। আমার বাড়ি এখন পাখির বাসা। বাড়ি আর বাসার মধ্যে শুধু একটা গান। ‘মন খারাপ করা বিকেল মানেই মেঘ করেছে’ শধু এই গানটা, আমি পেরোতে চাইছি...
(৭)
মৌকাল, একটা বাংলোর নাম। আজ চাঁদ আর চার্চের বিয়োগব্যথায়
শাদা। শালের পাতায় মহুয়া ঢুকে বসে আছে। শালশরাবী রাত আজ, হাতি এলে সেই হস্তীনির
কথাও ভাববো যে প্রথম ভালবেসেছিল।‘কি কি হবে’ থেকে ‘কি হবে’ অব্দি এই জঙ্গল। নেশা
পাতা, নেশানিমীল পাতায়। চোখ এবার সায়র হবে, দিঘি হবে, আমি রাস্তার ধারে আলকায়দা। না, আলকায়দা নয়, আলটপকা ব্লুজ। বাংলো শব্দটা সেক্সি। কেন, বাংলো খুলে ঢুকতে হয়
বলে?- তুমি। ঢুকে বন্ধও করতে হয়, বললাম। তুমি উঠে এলে। চাঁদ আর চার্চের মাঝখানে,
হোমস আর ওয়াটসনের মাঝখানে। সারা গায়ে রহস্যকাতার। খুলোনা, থাক। পাইপের ধোঁয়া
ঘুরছে, বাইসন ঘুরছে, চিতাবাঘ ঘুরছে, হাতিও। আর মৌকাল, মৌকাল নামটা?
আমি ডেকে উঠলাম। তুমি শুনলে কি শুনলে না,
চার্চের মাথায় চাঁদ লটকে গেল। বাঘ ফুরিয়ে যাচ্ছে। বাঘের প্রেম। আমি তাই ডাকলাম।
বাঘ গড়ে উঠছে যেন।তুমি কি ভয় পেলে, বাঘ কখনো রেপ করেনা, ভয় নেই। বলেই দেখলাম,
বাঘিনী দাঁড়িয়ে আছে।
দূর দূর তক ইহাঁ কোই নহি হ্যায়,
মনে হল বলছে বাঘিনীটা…
খুব ভালো লাগল স্বপনদা
উত্তরমুছুনখুব ভালো লাগল স্বপনদা
উত্তরমুছুন