অবেলায় ভরে উঠেছে ঋজুকায় ঘ্রাণ
(১)
সীমান্তে ভাগ হয়ে গেছে নদী
জেগে আছে পাড়া
কখনও বোমারুফোবিয়া, কখনও
আবেগান্বিত হোলি
পদচারণের নির্ধারিত করেনি সময়
অথচ জার্নালের বারুদখানা খোলা, বেবাক মীরাবাঈয়ের হৃদয়
ফেলে গেছে নৌকাকাল
তারই
আগাছায় পূর্বাহ্নের ধুলো
তবু তুমি আসো ভুলের দোর খুলে
ফেলে যাও প্রস্তুতিবিহীন শিরোনাম
(২)
দীর্ণ হতে হতে অকাল লিখছিলেন বর্ষণ যখন
অসমান বসন্তওয়াড়ি পার করে চলেছি
উপবনে
দাঁড়িয়ে গিয়েছে করাত অন্ধকার
সেদিন বিছানার সহচরীদের বলেছিলাম কোজি রাতের কথা,
অনিশ্চিত বাতের কথা...
দানাবীজে বয়ে যায় স্মরণ। পিঠে মুগুর ছাপ পড়ে
হেলানো প্রকল্পের ধাঁচ এখন নিভু নিভু
দু’ছটাক তরল সুখান্বিত হতে
এই ডটপেনের এখন নীলকমলিনী হওয়া
আর, অবেলায়
ভরে উঠেছে ঋজুকায় ঘ্রাণ
খোলা ঝুঁটির খুঁটি
নীল নীলের কবিতায় সমুদ্র ছড়ানো
মেটারনাল ঝুঁটির অ্যাল্ফাবেটও,
গুনে গুনে তাস ফেলছে অবসন্ন স্নানকারী -- গড়ানো দুধের
উৎক্ষেপণ
মাঝের ডেডলাইনে দাঁড়িয়ে দেখা যাবে শাবক ঘোড়াটা
গেমের দিকে ছুটে চলেছে
অসফল রাতের ষড়যন্ত্রে মৃত্যুর বিফলতা ছাপা হবে
ভাঙা দোলনা আমার, তাতে দুলে উঠতে পারত
একটা বাড়ি --
ভ্রাম্যমাণ ত্রিভুজ সম্পর্কের নিজস্ব আধার
আসলে আমাদের কোনো হাতল নেই -- ঠোঁট থাকতে নেই
বালিজীবন
নির্বাচিত
বিকেলের রক্তরাঙা ঢেউ দাগ কেটে যাচ্ছে জেটির গায়ে
সেসব
চিহ্ন পরিচিত বলে ফাঁক রেখে যাই
রঙিন মাসের বিভাজনে
জলের পিঠে
খোলামকুচি চালিয়ে
প্রথাগত
হয়ে উঠছে জন্মের দায়
শূন্যতার
দৃশ্যে দূরে থেকে গেছে অভাবিত সেই নদী
যেখানে
স্বপ্নের খোলা জায়গায় উঁকি দিয়ে যায় ঘর
রাস্তার
আলোর প্রলেপ পড়ে, নীলাভ গানে নেশার বুদবুদ ওঠে
তবু আবারও
সেই ভুল পর্ব ঠেলে
কেটে যাবে ফাঁকি দিয়ে ওড়ার দীর্ঘমাস
এইখানে
গৃহ আসলে বাদুরের মতো ঝুলে থাকে
আর
সমস্তরকম মৃতের পাহাড় সরিয়ে
স্বতন্ত্র এই বালিজীবন
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন