মৃত্যু
আলমারি গোছাতে গিয়ে, এক কোণ থেকে বেড়িয়ে এলো, জীবনে প্রথম
উপহার পাওয়া
শাড়ি। না, শাড়িটা কোনদিন পড়িনি আমি। ফেলেও দিই নি। শাড়ির আঁচলে একটা
ছোট্ট
গিঁট। কিসের এই গিঁট মনে নেই। আগে লক্ষ্যও করিনি। গিঁট খুলতেই আয়নার মতোই
ভেসে উঠলো বিসর্জনের ছবি।
তার টাইটেল কার্ডে লেখা আমার মৃত্যু সংবাদ!
বিষাদ স্বপ্ন
জীবন জুড়ে মনের খামে
পূর্ণ হলো চিঠির বোঝা,
স্বপ্ন তো নেই - তবু কেন
এমনি করে তাঁকে খোঁজা?
হৃদয় জুড়ে বিষাদ সাগর
এক দু'ফোটা চোখের জলে,
ঝলসে যাওয়া ইচ্ছেগুলো
কবর খুঁড়ে থাকতে বলে।
একলা কাটে বেরঙ জীবন
হৃদয়ে ক্ষত রক্তনদী।
বইয়ে ভাঁজে শান্তি খুঁজি,
ইচ্ছেমৃত্যু থাকতো যদি!
দুঃখের 'পরে দুঃখের পরত
শহর জুড়ে সুখের ডানা।
আমার আছে বিষাদ পাখা,
আকাশে জুড়ে উড়তে মানা।
অলীক ভাবনা রাত্রি দুপুর
আবোল তাবোল স্বপ্ন দেখা।
অনন্তকাল অপেক্ষা আর,
জীবন নদে ভাসতে থাকা।
বিষাদ নামে মনের খামে
পূর্ণ হলো চিঠির বোঝা,
ঝলসে যাওয়া স্বপ্নগুলোর
নতুন করে জীবন খোঁজা।
ইচ্ছা মৃত্যু
ইচ্ছে ছিলো সকালের সোনাঝরা রোদ হব,
ইচ্ছে ছিলো বৃষ্টি শেষের একলা দুপুরে
হেঁটে যাব জল থৈ থৈ পথ ধরে বহুদূর।
কখনো ক্লান্ত হয়ে বিশ্রাম নেবো,
কোন গ্রামের নিকোনো মাটির দাওয়ায়।
ইচ্ছে ছিলো সুখের সুরে সুর মিলিয়ে
নতুন রংএ রাঙ্গিয়ে নেবো নিজেকে।
এখন যাবতীয় ইচ্ছেগুলোকে
বাক্সবন্দী করে, আর সুখকে
ন্যাপথলিনে মুড়ে গুছিয়ে রেখেছি
পুরনো আলমারির দেরাজে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন