খণ্ডগামী
ভালোবাসার লাল গোলাপ
হাতে তুলে দিলে,
তাকিয়ে দেখি জমাট কালচে রক্তে
ভেসে যায় হাত
রূপোলী জ্যোৎস্নামুহূর্ত সব
সারি সারি সাদা কাফন পরে
ঘিরে দাঁড়ায়,
লাশে লাশে বরফ আঁতাত
এগিয়ে আসেন আধুনিক ঈশ্বর
বত্রিশ দাঁতে শুধুই ক্যানাইন
জীবন মৃত্যু বিচার খেলায়,
উল্লাস প্রতি বিস্ফোরণে
ছিটকে যায় উরু, ঘিলু,
মণি
উৎসব ফোয়ারায়
মরণাপন্ন এক আয়নায়
আমার তরল চোখজ্বালা
ওপার থেকে আমাকেই ছুঁয়ে ফেলে,
অবাক হাত দিক বদল করে
এঁকে দিতে চায় ব্লটিং
অন্ধকারভেজা গালে।
লেহ্যবিম্ব
শুনশান সূর্য মুখ দেখে
রোদাবকাশের আরশিতে
নিপুণ ছড়ানো ছেটানো
লজ্জা ভাসিয়ে
ডুব দেয় মরীচিকাস্নানে
এলোখোঁপা।
নিরক্ত নারকোল পাতায়
নজরদার মাছরাঙা,
হাওয়ায় অর্বুদ লোভ
হাপুসহুপুস ফুলকি ছোঁড়ে
জলপাতালের কার্ফু দেশে
বিকার ছাপা।
দারুচিনি শরীর ধোয়া
ভাঙ্গাচোরা মুদ্রায়
নির্বিষ জলঢোঁড়া মিশে যায়
মারণ নিঃশ্বাসে
মহামারী দুপুররাত।
আফ্রোদিতি
স্নানকালে বাসী কাপড় ছেড়ে ফেলি। জলে মেঝে ঝিকিয়ে উঠলে আর নিজেকে দেখি না। বাইরের নারকোল ঝিরিছায়াকেও সরাতে চাই শার্সি থেকে। এমনভাবে জল পুড়িয়ে যেতে পারে, তার কালক্ষণ ধার্য করে দিলো কে?
শ্যাম্পুর আধখালি কৌটো ঝাঁকিয়ে ছুঁড়ে ফেলি ঘনিয়ে আসা দুটো চারটে চুলের রূপো। কি এমন স্লোগান ছিলো মিছিলের, যাতে বন্যার মতো চোখে উঠে এল প্রোগ্রেসিভ লেন্স! বাবার কথার আর কখনো অবাধ্য হবো না, একবার ফিরে যাই সেই বাধ্যমন্দিরে।
ঠিক জানা নেই, ক'হাত দূরত্ব থাকলে তোমাদের বন্ধু ভাবা যায়। লিঙ্গভেদে গোনা হোক হাতের দূরত্ব, ঠিক কতো ইঞ্চি হাসলে তাকে প্লাস্টিক বলে বুঝে ফেলবে না কেউ? মেটালিক কাস্তে আকাশ ফালা করলে, শুরু রোম্যান্সের পয়লা ধাপ।
বেড়াবিনুনিতে বা কলাবিনুনিতে ফিরতে চাইলে এখন বাধা দেয় বড়ে গুলাম আলি। বিরহ নিতে নিতে ভালোবেসে ফেলি কোনো মিথপ্রেমিককে। ঝিনুকের খোলসে বা আয়নায়, ডলফিন বা রাজহংসীতে আমাকেই দেখেছিলে তুমি, দীর্ঘশ্বাস।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন