সোমবার, ১ জুলাই, ২০১৯

সুপ্রীতি বর্মন




কর্কটক্রান্তি 


কর্কটক্রান্তির চৌকস ঊর্ণনাভ শেকলে পরজীবি
ঘূর্ণিবর্তে রমরমা ছান্দিক হিমশৈলে পোষ্য অন্ধযাম।
গোলকধাঁধায় রমণীয় দেহপল্লবে পিছুটানের সৌকর্য রস
প্রতিস্থাপক বিশল্যকরণীর দগ্ধসেবন ক্ষণিক মোক্ষ সারাইকর্ম।
পরক্ষণে জটিলতা আঁকড়ানো হুইস্কির পেগে ধর্তব্যে রাজকীয় হরিণ
পরব্রহ্ম তালুতে জাঁকিয়ে বসন কালনাগ
উচ্চশোণিত চাপে হুমড়ির অন্ধযতি অপোগন্ডের গতি।
পাঁচতারা লেনে সকল বিষাদ বিষবৃক্ষ হয়ে
ছায়াময় অরণ্য দুপাশে সটান ছত্রবিস্তারে অক্লান্ত ঘ্রাণ
তোমার সটান ঊর্ধ্বগতি নিমজ্জিত বিশাল সাঁকো
নর্দমার দেব উলঙ্গ শিশু হাতড়ে পায় সম্বিত।
পক্ষে তার ফুটে উঠে জঙ্ঘার সমীকরণ
পেটিকোট মুড়ে কল্কাকটি স্নিগ্ধ রজনী
অপাপবিদ্ধ ভ্রমরে নিখোঁজ প্রেমিকের অধরে ঝাপট চুম্বন
বিষক্রিয়ায় স্রোতস্বিনীর ভাঁটায় মরা মরা আগুন।
ছাইচাপা প্রদক্ষিণ সন্ধ্যাঘুমে কর্কটক্রান্তি।


ছককষা পাশার চাল

ছককষা পিছলানো চৌকাঠ মধ্যবর্তী শীর্ণকায়া
আন্ধারে ছাপোষা রোজগার গুমোট নিঃশ্বাসে ভুক্তভোগী 
তোমার দু আনা নুন চাখা রোজ রোজ ডালভাত
উপরিওয়ালার কারুণ্যে ঝকমারি আটক মাকড়সার জাল।

মর্তচ্যুত ব্যাঙাচি ধিকধিক নিঃশ্বাসে ক্ষণজন্মা ঔদ্ধত্য 
অষ্টরম্ভা কাজ তোমার বলাইবাহুল্য অহমিকা।।
গুপ্তকথন পৌরুষের ঔরসে রোজ বাক্যালাপ
শর্বরীকে উলঙ্গ রাতে আরো কাছে ডাকে
চোখাচোখি নিষিদ্ধ বাল্মীক ঢাকা অনাবৃত শরীর
নৈঃশব্দে ঘুম ঘুম চোখে কস্তুরীমৃগ আভূষণে
সুন্দরবনের আকছার নিদাঘপ্রিয় আদিমতায়
দুমড়ে মুচড়ে নাগরিক সত্য যাপনে কালাকাল যুবক
অধঃক্ষিপ্ত স্মৃতি জুড়ে স্বর্ণদেউল আঁকে।

কোঁচকানো মুঠির হিমশিম ঘাম‌ঋণ মহাজনী খাতায়
নিশাচর আগোলে অনিশ্চিত সুখপাখির
মস্তিষ্কের সুতেলা দড়ি পাকিয়ে ব্যর্থ জৈবিক চাহিদার  
কাঁচের আরশি ভাঙা বুকজোড়া উঠোন চাতাল
মায়ের তনছট আর নিত্য ঘ্যানঘ্যান 
এটা সেটা ,  
মনের মানুষ আজ শুকিয়ে যেন গৃহবন্দী কাপড়
জীবাশ্মে সোহাগী প্রিয়তমাকে খোঁজে। 



1 টি মন্তব্য: