সেরকম কিছু না
দীর্ঘশ্বাস!
খুব যত্ন করে লিখবো বলে, হলুদ বিকেলগুলো
জমিয়ে রেখেছিলাম।
হলুদ বিকেল, গেরুয়া ভাঁড় আর লুপ্তপ্রায় আধপোড়া
ফিল্টার... ব্যাস... আর কী!
সময় নাম দিল ‘মুহূর্ত’,
অবকাশ ডাকল ‘স্মৃতি’ নামে,
আর ওদের দেখাদেখি ব্যস্ততাও ওমনি নাম দিয়ে দিল ‘নস্টালজিয়া’।
খাতায় কলমে আঁকা হয়ে গেল, ফিরতি দুপুরের
কফি আর স্যান্ডউইচ।
এইরকমই কোনো একটা সংখ্যায় তোমার-আমার দেখা হয়েছিল একদিন। আমি নাকি
তখন বৃষ্টি দেখছিলাম...
আর তুমি...
এই তুমি-আমির সংজ্ঞাটাতেই আটকে যেতে হয়। ট্রাফিক জ্যামে যেভাবে আটকে থাকে নিঃসঙ্গ মিউজিক সিস্টেম।
এ.সি’র অভিমানে জমতে থাকা জলের দানা, অথবা বর্ষার প্রশ্রয়ে বড় হওয়া রঙিন
নিয়ন বাতি।
শার্সির কাছে তো আসলে সবটাই ধূলো জমতে না পারার পাসওয়ার্ড। তবুও ধুয়ে যায় কি?
সোলপ্যাচ্...
খাটো উচ্চতা...
আর থমকে যাওয়া জুতোর ফিতে...
এরা সবাই একদিন হাত ধরাধরি করে কবিতা হয়েছিল। তারপর সেই হাতে টি-স্কেলের বদলে উঠে
এল উকুলেলে।
সোলপ্যাচ্...
খাটো উচ্চতা...
আর থমকে যাওয়া কলম...
পুর্নজন্ম?
চরিত্রদের তো পুর্নজন্ম থাকে না। রিক্যাপ থাকে। রিপিট টেলিকাস্ট থাকে। বিজ্ঞাপন বিরতির মত আসা যাওয়া
করে, হলুদ বিকেল, গেরুয়া ভাঁড়...
তবু বলছি, টি.আর.পি চাই না...
ঘুমপাড়ানি গানের লোভ হয় শুধু।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন