সোমবার, ১ জুলাই, ২০১৯

অগ্নি রায়




ওয়াটার কালার



(এক)

তোমার পেডিকিওর প্রহরের জন্য উৎকন্ঠায় কাঁটা হয়ে রয়েছে জলের সবুজ। সুযোগ খুঁজছে গোপনে বাজিমাৎ করার! নখের কাছে সম্মেলন করতে এসে জমে যাওয়া সুদর্শন ফেনাসকল প্রশ্রয়ে বুঁদ। রতি মধ্যে থমকানো আধভেজা শিৎকারের শব্দে, দ্যাখো, ঝরে যাচ্ছে উদ্দাম হেমন্তের পাতা, স্নানঘরে। এবার শেষরাতের অপেরা শুরু হোক


(দুই)

দিগন্ত ক্রমশ ঝরে গিয়ে তোমার উডপেন্সিলের শিসের আগায় উড়ে এসে ডানা মুড়লো। হ্যালু-বর্ষায় ধুয়ে যাওয়া কানাগলি আর ছুটিপ্রবণ সরু নদীগুলি তো বসতে চাইছে কাছেপিঠে। ওই শিসের জাদুতে আঁকা দূরপাল্লার টায়ার তাদের ধুম যৌনতা হারিয়ে ফেলছে হাইওয়ের বিষাদখাতার কাছে। রাতজাগা গ্যাস স্টেশনগুলি এই সব অলীক পরাজয়ের স্বাক্ষী থেকে যায়



(তিন)

মধ্যরাতের ডাকনাম সন্ত্রাস। ঘড়ির কাঁটা বদলের সঙ্গে সঙ্গে ঘরের আলো বদলায়। এই সব খুনখারাপি মুহুর্তে লং প্লেয়িং রেকর্ড, টেকিলা শটস আর দেওয়াল জোড়া বিরহ-ফাটলউদ্দাম ট্যাংগো নাচতে থাকে একে অন্যের হাত ধরে। অ্যাশট্রে উপচে পড়ে একঘেয়েমিতে। ছাই চাপা চুমুতেও


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন