শনিবার, ৮ জুন, ২০১৯

অমর্ত্য বন্দ্যোপাধ্যায়




ময়ূরাক্ষী

রাত্রি নেমেছে খুব,
জলে ভেজা পায়ে,
বালি দিয়ে হেঁটে যাবো,
ঢেউগুলো ভেঙে ভেঙে পড়ে,
দিগন্তে ঘন নীল - হ্যালোজেন আলো,
ফসফেট লবণের মতো,
কাঁধ ছুঁয়ে ভালোবাসা,
নদীটুকু ভেসে গেছে,
কুয়াশা পড়েছে খুব,
ভেজা ভেজা রোদে,
তুমি আর আমি বসে থাকি,
নদীতে বেড়েছে জল,
পা- গেছে ডুবে,
দামোদর - তোর্সাতে গিয়ে মেশে,
জল আসে,
ময়ূরের মতো চোখে,
স্বচ্ছতা ধরা পড়ে,
চাঁদ হয়ে আলো আসে,
নদী ছুঁয়ে কবিতার মতো...


দেবদত্তাকে

অঞ্জলী সাজিয়েছি,
ফুল হয়ে ঝরে পোড়ো শুধু,
যেখানে হোমাগ্নি নেই,
আছে শুধু জলটুকু,
কোষাকুষি - নিবেদিত হয়ে,
ভালোবেসো,
নিবেদন কোরো তাঁকে,
নিজ মুখে, নিজসুখে - নিজ সবকিছু,
বসনে শুভ্রতা ফোটে,
সূর্যের কুঁড়িদের মতো,
ভালোবাসি . . ভালোবাসি তোকে,
আকাশের মেঘ হয়ে, মাঠপারে নদী হয়ে,
কাশফুলে ঢেকে থাকা, চরেদের মতো...


উপন্যাস

সুন্দর একটা খাতা পেয়েছি,
সুন্দর একটা কলম,
লিখতে বসবো প্রথম উপন্যাস,
স্বচ্ছতোয়া হরিণীর মতোই...
কাব্যোপন্যাস লিখতে বলছো?
যেখানে প্রতিটি অধ্যায়েই,
হারিয়ে যাবে - একটা না একটা নুড়িপাথর,
জলরঙের ঝর্ণারাও,
ছুঁতে ছুঁতেও - ছুঁইতে পারবে না,
মনের খবর গোপন রাখবে ভবিষ্যত,
উপন্যাসের মৃত্যু ঘটতে পারবে...

তুমি বরং কবিতাই হয়ো,
আশ্লেষে ভালোবাসবো তোমায়,
তুমি আর আমি, মিলেমিশে এক হয়ে যাবো,
প্রতিদিনকার ভোরবেলায়,
সূর্য-ডাকা আজানের সুরে...

জল আসে,
আমি নদীদের মতো ভালোবাসি,
জোয়ারের ঠেলা খেয়ে নৌকোটা সরে সরে গেছে ...


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন