শনিবার, ৮ জুন, ২০১৯

অরুণিমা চৌধুরী




পুরুষতন্ত্র

ঈশ্বর প্রথম পুরুষ
যিনি পুরুষত্বহীন

যিনি শরীর উদ্বেল হলে অক্ষম হাত দুটি কামড়ে ধরেন 

পিপাসাকাতর হাতে খুলে নেন আদমের বক্ষ পিঞ্জর

নারী চাই,  যা কিছু নরম
তা চোখ আর প্রত্যন্ত প্রদেশের সুখ

ঈর্ষাকাতর বুড়ো (আসলে তো বুড়ো ভাম, দুর্গন্ধপ্রিয় )
ইভকে 'সর্বনাশী' বলে গর্ভ থেকে খিমচে নেন আঁশরক্ত শাঁস
ছড়িয়ে দেন পৃথিবীর বুকে

প্রবল উদ্ধত সেই লিঙ্গহীন প্রথম পুরুষ যাকে তুমি ঈশ্বর বলেছ সেও
ব্যাধ 

প্রিয় পুরুষের নীচে তোমাকে প্রোথিত করেছে...


পাপিয়া স্যান্যাল

বিদ্যুৎ চমকের মতো মেঘ
দ্রুত সরে যায় বৃষ্টিও অনাবিল
ওই পাতার উসখুস  দ্যাখো
তোমারও  কি সামান্য উদ্বেলিত বুক!

বাতাস থমকে আছে
দড়ি খুলে দাও  খুলে দাও আগল
বুকের হাওয়ামোরগ

কী আগলাবে! বিষ!
ক্ষতমুখে মুখ রেখে বলো দেখি
কে  জীবন বিষিয়ে দিয়েছে!

পাপিয়া স্যান্যাল! সে ছুঁয়েছে
অন্য অন্য স্তন

আর কতবার ঠকে গেলে
ক্ষমা শব্দ ভুলে যাবে তুমি!
উঠুক ঝড়  উপড়ে যাক পোড়া ঘর জঞ্জাল

বদলা নেবে তো বলো পাপিয়া স্যান্যাল!


নেতা

একটা দেওয়ালও সাদা রাখব না
এই প্রত্যন্ত অঞ্চল বারুদমুখো

ইচ্ছে হলে ছিঁড়ে ফেলো
তছনছ করে দাও সব
মারো
যে ক’টা জীবিত স্নায়ু, ছিমছাম খুন করে ফেলো...

তারপরেও দেওয়ালগুলো সাদা থাকবে না।

তোমাকে ডাকব
তোমাকেও ডেকে নেব
গুছিয়ে মারার আগে স্তন খুলে দেখাব
ওখানে হৃদয় অবশিষ্ট আছে
যেটুকু সাবলীল ছুঁতে পারো
তার বাইরে এসে দাঁড়াও

তোমাকে মনে মনে ভীষণ ঘেন্না করেছি

শ্বাপদ সঙ্গমে  জন্ম নিয়েছে জড়বুদ্ধি
তার শিরায় শিরায় প্রতিবাদ চারিয়ে যাব

একটা আঘাতও ছেড়ে কথা কইবে না

এই অরণ্য বিপদ সঙ্কুল
এসো বিস্ফারিত চোখে দেখে নাও
তোমার শেষ শ্বাসবায়ু

আড়াল আঘাত গোপন অভিসারের আদিখ্যেতা ভুলে দেওয়ালগুলোও
কেমন  চিৎকার করে উঠছে ‘ভণ্ড’




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন