শিরোনামহীন
(১৩)
চারদিকে অথই
উঠছে নামছে
ডুব-ডুব মাথা থেকে
খুলে যাচ্ছে নেশার আফিম
শেয়ালা জমেছে খুব
তারাদের গায়ে
প্রিয় রোহিণী বিশাখা
চিঠি লিখতেই ভুলে গেছে
প্রিজমের চোখ
ভাঙা আলো সুচরিতা
রঙিন ফোয়ারা খুলে
স্নান সেরে নিলে
অথই আমাকে ডাকে
কূল রাখে বিশাখা রোহিণী
স্নান-সারা প্রিজমের চোখ থেকে
ঠিকরে বেরোয় কলাবউ
নামে
ওঠে
অথই বেহাগ
(১৪)
জেবে ভরে রাখা তামাক
হয়ে যেতে পারে ফুল, পায়রাও
ম্যাজিক
নতুন বাড়ি ভেঙে ফ্ল্যাট
ম্যাজিক
মানুষের মুখ পালটে শেয়াল, বাইসন
না-ম্যাজিক
সহায়ক নদী বুজে
নাচের আঙিনা
নেশা নেশা ডিমলাইট
স্বল্পবাসে জোনাকি চমক
জাদুঘরে একপাত্র জল
নমঃ শ্রী-বিষ্ণু হতে থাকে
অন্ধকারে কত যাদুদণ্ড
ঘুরছে ফিরছে
হাত অন্যহাতে মুঠি হয় যদি
ধরবে কীভাবে
(১৫)
গা ভরা অঙ্গ
অঙ্গ ভরতি প্রিজমের ত্রিতল
আলো আসে, আলো যায়
পুব খুলতে থাকে
গাঁ-এর শরীরে চুনোমাছ কুমড়োফুল
উঁকিঝুঁকি শাদাকাশ লেখে জাঁক
শেয়ালের পানশালা থেকে
হেঁটে যায় চোঁয়াঢেকুর
অরন্ধন গান সাধে
উনুনে ঘুমিয়ে থাকা বেড়ালের গলায়
আলো আসে, আসে কি?
পশ্চিম জানে
না-এলেও যায়
প্রিজম জানতেও পারে না
(১৬)
ডুবুরির শ্বাস বাজি
রেখে
চলচিত্রের এই শীর্ষবিন্দু
ঢেউ
নামা-ওঠায় গ্রাফাইট
একটি বক্ররেখায় নিজেকে সাজায়
মানচিত্র
বাঁকা বাখারির
ভেতর বাইরে
দূরপাল্লার মিসাইল
‘খেতে দাও, খেতে দাও’
বলতে বলতে
লিপস্টিক মেখে নেয় মুখে
মুদ্রা ও মানুষ
এক পাত্তর মেরে দিয়ে
যেমন খুশি চলতে পারে না
ডুবুরি গ্রাফাইট হতে থাকে মানচিত্রে
বাঁকা রেখা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন