বুধবার, ১ মে, ২০১৯

তুলসী কর্মকার




সংসার

মন থেকে নিঃসৃত রস হল বর্ণসমষ্টি
 
অক্ষরে থাকে এক প্রকার পদার্থ
উপায় তাকে জাপটে ধরতে চায়
ঠোট চুমুর নির্বোধ কম্পনে বেসামাল হয়
 
শরীর বেঁকিয়ে যৌনতা খুঁজে চলে
কঙ্কালহীন কেঁচোর গা বড় পিচ্ছিল
শামুকের খোল দেখতে পারো না
অক্টোপাস তোমার অপচ্ছন্দ
বাঘ ভীষণ প্রিয়
তুমি সুন্দরের পূজারী, গোলাপ প্রেম আমাকে চাও
অহরহ চেষ্টা কর 
মাইক্রোসার্জারি ছলে আমার অস্তিত্ব থেকে কাঁটাগুলি
আলাদা করে শিমূল ফুল বানাবে 
অথবা
 
অস্থিবিহীন বাঘের নাচন পাশে বসে থাকা বান্ধবীকে
দেখাবে আর হাততালি কুড়াবে
এ নেশা মাতাল করে, আমিত্ব হারিয়ে হাড়গোড় হারিয়ে
ক্রমশ পুতুলের নাচে মেতে উঠি... 


 আবরণ 

দূরে একটি মাঠ বসে আছে
 
হালকা সবুজ প্রচ্ছদ
 
প্রয়োজন পরোয়া ব্যতীত
 
গজিয়ে উঠা খেয়ালি আগাছা
 
ল্যাংটো মাটির টেপজামা
 
অঙ্ক কষার আগে পাতাটি সাদা
 
অপেক্ষা করে আঁকিবুঁকি প্রহর
 
স্কাইব্লু সংখ্যা ছড়ানো
 
বহুরূপী ভাগগুণ যত
 
লেখার খাতা খাতার কথা হয়
 
রাতের আকাশে তারা থাকে
 
আলোর মোড়কে মোড়া
 
দিনেও থাকে
 
প্রকৃত রূপ আলোতে দেয়না ধরা
 
একটি পশু প্রেম আঁকে পিঠে চড়ে
 
উপেক্ষা করে মানুষের বর্ণমালা
 
ভালোবাসা তোমার ভাষা
 
অদ্ভুত জটিল এবং আলাদা আলাদা
 


ঝর্ণা

কামনার নির্লিপ্ত উঠানে তোমার সংশক্তি
আদিখ্যেতা উদ্দীপনে আঘাত হেনেছি
উপরিতল ক্ষতিগ্রস্ত, চুঁয়ে পড়ে মজ্জাগত তরল
 
দিশেহারা তুমি
শরবত পরিলক্ষিত হয়
উপলব্ধ স্যাঁতস্যাঁতে নির্যাস
ধারা হতে চায়
বহমান কলা প্রেমজ টান জলজ ফাঁক
প্রকৃতিগত অস্তিত্বের দ্রাবক
 
বিগত বিদ্যমান আগত পথে ক্রমাগত রেখা আঁকে
 

অর্ণবপোত 

ফুচকা ক্ষেতে সাবেকি অঙ্গনা
অকারণ প্রতিযোগী হয়
  
আড় হাসি বিকেলঘরে
রোমাঞ্চ বয়ে যায়
এলোমেলো প্রশ্ন উড়ে
সাবলীল উত্তর
  
মৃদু আশকারা বাতাসে
ইচ্ছেরা প্রাণ খুঁজে পায়
বিদ্রুপ করলে আহা কত স্বাদ
দেখ তবে ঘুমরাতে মন
 
ফুলে উঠে কথপোকথন
 
ব্যর্থ হলে তুমি
স্বপ্নে ভেসে এলে
দিগ্বিদিক হারিয়ে
 
দুলে মন দুলে তুমি
 
আর আমি রূপকথার নাবিক হয়ে যাই

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন