শুক্রবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৯

দেবলীনা চক্রবর্তী




প্রেম-অপ্রেম 

এত রঙের মিশেল আজ আকাশে
দেখতে দেখতে আলোড়ন জাগায় মনে। 

কিন্তু এত বড় আকাশ, এত তার গোপন গ্রন্থি 
কোথাও না কোথাও মেঘ জমেই থাকে
যত পোড়ে তত ঘন হয় ওঠে, যদি ঝরে পরে!
ভিজিয়ে দেয় অসময়ের বর্ষা হয়ে!

 এরপর
 অলৌকিক বার্তায় জেগে থাকে মেঘরঙা জোনাকী আর ঘাসফুলের প্রেম,
 এ সবই মহাজাগতিক সত্য। 

 আর কিছু প্রেম, ভ্রমবশতঃ কাছাকাছি আসে শেষে মিশে যায় যেমন চাঁদের গায়ে চাঁদ লাগে!


আলোয় ফেরা 

বিগত দিনের ঝিনুক বিষাদ পেরিয়ে গেলে-
ভাবছি একটা গোলাপরঙা মুক্তের নাকফুল গড়াব;
শুনেছি নাকি জ্বলজ্বলে নাকফুল সৌভাগ্যের প্রতীক 
আমার জানলা খোলাই ছিল, প্রতিদিনের মতো 
কিছু অপরিচিত হাওয়া আর মিশকালো অন্ধকারে  দুলে উঠলো মধুবনি প্রিন্টেড পর্দা- 
  
একরাশ উপেক্ষা আর অবজ্ঞার ছলে তাকে মনের ঘরে প্রবেশাধিকার দিইনি, বিদায় দিয়েছি
এই বলে - 
সৌভাগ্যের দ্যুতি যখন আমারই চৌকাঠে প্রবেশের অপেক্ষায়, 
তখন এমন অন্ধকারের সাজ আমার এ ঘরে মানায় না!


আত্মস্থ

এই যে আবার রাত্রি এলো খোলা জানলায়,
ভালোলাগে না রোজ এ অন্ধকারের বার্তালাপ!

চোখ সরিয়ে আনলে, ভালো লাগে-
ওধারে দেখি, 
আলো আঁধারিতে এভাবে মিশে আছো তুমি এক অপূর্ব জ্যোতি প্রকাশে, আত্মস্থ!

 চারিপাশে ফুটে আছে থোকা থোকা ঠোঁট ফল চেরিরঙা আবেশ তার-
 একটিমাত্র গোলাপ ফুটে আছে এই ভালোবাসার বাগানে । 

আর রূপালী চাঁদের সাথে তুমি-
কী ভীষণ অন্তরঙ্গ!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন