শুক্রবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৯

রঞ্জন মৈত্র




যেতে যেতে  

ধ্বনির মাথায় পৌঁছে দেখি নদী চলে যাচ্ছে
বন মাড়িয়ে পাথর পেরিয়ে
ক্লাস এইটের বৃত্ত
ক্লাস নাইনের আঁচল
নদীর মুড়োয় পৌঁছে দেখি ধ্বনি চলে যাচ্ছে

একলা মনে ব্লেড যায়
লামন লামন ডাকে সুঁড়ি ও সুরঙ্গ
পথমন নাকি মনপথ
কে কাহারে সেফ রাখে
এক আমার জটানো সামিট
ছড়িয়ে পড়ে দুই তিন অস্ত উদয়
প্রশ্ন ওঠাই আকাশ ছেয়ে
নুয়ে পড়ি সাদা ক্ষেতে
তার সবুজ, তার বোঝা না-বোঝায় সোনালি
দুধগোড়ায় পৌঁছে দেখি বৃষ্টি চলে যাচ্ছে


রিংটোন


পথের উপর পথ
তারপর ড্রইং খাতা এইচ বি টাউন
একতলা লেগে আছে
পরিযায়ী প্যাস্টেল পল্লবে
বেড়ার আঙুলে পাস
তারপর জিন্দাবাহার
উড়ে যাবে বোর্ডিং ছাড়িয়ে

ধুলোয় ফোটানো মনিটর
অনুবাদ থেকে পিছলে
প্রিন্টার জানালায় এসেছে
টিলা পার করা রোল
কিছু কত্থক কিছু না আঁচড়ানো কুচিপুরি
আলোরেখায় হেরে যাওয়া নেমপ্লেট
আঁকতে আঁকতে মাঠগুলো মোবাইল নম্বর
খাতাগুলো শিস দিচ্ছে
কোঙ্কণে এইচ বির মোড়ে


ম্যান গ্রোভিং

ফুটো ফুটো মেঝে
চাদরে চাদর চবুতরা
লুকোনো লহরা তাকে শোর করো
সীশোর কিশোর
দিন না বিকেল জুড়ে কবজি কোহরা
গরাণ পায়ের কাছে সচিত্র এপিক
মধ্যে যাবো
পরিযায়ী তন্মধ্যে লুকোনো টাওয়ার
তাকে হাঁটো
চোদ্দ পয়েন্ট সাঁকোর নিচে
পাখসাটে গেছে ক্রিয়াপদ
জ্বলে ওঠে ইকার ঔকার
কাঁকড়া মেসেজ নয়
কবজি মেসেজ নয়
কাঁপা মোডে যে কথা এসেছে
তার অজিব নকাশি
বারিশোর জুড়ে ওড়া করো







কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন