জীবদ্দশার অ্যালফাবেট
এই দ্রঢ়িষ্ঠ জীবনাঙ্কের ভাষা কেমন
বুঝিনি
আজও...
একবারই উড়েছিল সোচ্চারগন্ধি নিশান, প্রলয়ের ভার
সামলাতে
সামলাতে তার আগামীও
খোঁড়া ভিখিরি
তবু তুমিও বাঁধা পড়ে আছো , হে ব্রাত্যজন
উবু হয়ে বসেছে দিনযাপন
জারভেরার গীত আরও দূরে নিয়ে গেলে
তুমিও ভেসো, হেসো গুলঞ্চের আমোদে
এবার বসন্তে পায়রা ডেকে উঠুক আর
পায়ের মলে স্থায়ী হোক
তেরচা নজর
বসন্তকল্পদ্রুম
শীতের এই গয়ংগচ্ছতা
তবু গোপনে কেউ দ্বার খুলে দিল বনপলাশের ভৃগুবাসরে
এখন তাদের রিক্ত হতে মানা, ঝাঁকা নিয়ে
বসন্তকল্পদ্রুম
এই পরমদিনের ফুল নিয়ে তুমি যেখানে নুনের হিসাব করছো
ঘোলাটে জন্ম নিয়ে সিন্দুক খুলেছি
নিন্দুকের বাসরঘরে
এবার সপ্তাহের দেহভার রেখে এসো
প্রীত হও, একান্নবতীর খিদে
মেটে না পাতে
প্রতীতিবাদীরা জানে না --
কামনার বিশ্ববলয়ে খুলে যাচ্ছে
স্নেহের শুদ্ধ প্রয়াগ
রবিবাসরীয়
তৃতীয় পঙক্তির শেষে গড়িয়ে যাওয়া সকাল
-- ক্ষীণ হয়ে আসা
জ্যোৎস্নাশ্লোক
কাকতাড়ুয়া নেই
অথচ কাকতালীয়ভাবে কেটে গেল শান্ত হংসবেলা, আর
রবিবাসরীয় কোমল হতে হতে
মুছে দিয়েছে
হুল্লোড়
ঠিক এখান থেকেই অন্ত্যজ ঢেউগুলো সমান হয়ে গেল
|
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন