বসন্তের অপেক্ষায়
আঙুরের বোঁটা ছাড়িয়ে খেতে ইচ্ছে হতেই পারে
আমি একান্তে সে ফলের বোঁটা চেটে নিতে নিতে
অথচ সে ফল নিষিদ্ধ ছিল
তখন চৈতের খরা খটখটে মাটির ফাটলে
হা হুতাশ গড়িয়ে যাচ্ছে…
বঞ্চিত সন্ধিস্থানগুলি বড় চেতে ওঠে লালতাপ
লোহার আস্তরণ থেকে খেপা হাপরের শ্বাস উঠে আসে।
কতটা কাছে আছো তুমি?
সাপের মত গিলতে গিয়ে সে ইঁদুর বার বার বেরিয়ে আসে
মুখের ঝাঁপে সাপ ও চুহার কুদাকুদি খেলা--
তখনও বিশ্রামকাল আসেনি।
একটি চুমু লালায়িত হচ্ছিল,
বসন্তের অপেক্ষায় বসে নেই কানাই,
সে তার বৌকে শয্যায় বিছিয়ে নেয়
তার ঠোঁট চিরে রক্ত পলাশ হয়ে ফুটে ওঠে।
অকাল বসন্ত
বসন্ত এইখানে দেখো, এই সরোবর ও শিথান পৈতান কাঠির শিশ্মদেশ
মন্থনে কিছু নীলবিষ ক্ষণকাল অমৃত হয়ে উঠে আসে।
লাল তোমার সংস্পর্শ গিলে খাই,
আমার লালাভ তোমার বুকে বিঁধে যায়--
তোমার বুক ছেনে ছেনে এক রাশ দুধ প্রত্যাশায়।
এই চেতখরায় দেখো কানাই খুঁজে পেয়েছে তার অকাল বসন্ত।
যেখানে মাটির সোঁদা গন্ধ,
যেখানে কবিয়ালী কাতুকুতু শব্দে কৃষ্ণচূড়া আগুন হয়ে জ্বলে
তোমার গনগনে মুখে আমার পোড়া কালো মুখ
আর কিছু সঞ্জীবনী ঢেলে শেষ সীৎকারী চুম্বনে
তুমি বসন্ত আমেজে লাল প্রান্তর এলিয়ে পড়ে আছো।
বসন্তকে ডাক দিই
একটা সময় আসে যখন জ্বলে যেতে ইচ্ছে হয়
চৈত্রখরার শরীরঘর্ষণে হরিৎ অরণ্যে দাবানল জ্বলে ওঠে
আমি ফাঁদ পেতে বসে থাকি, পাখির আলয়ের আশপাশ
ধারাপাত বুলির মত উড়ন্ত ভালবাসা, কিছু রঙ আবির মাখিয়ে
তোমার জ্যোৎস্না মুখে আমি ঠেলে ধরি আমার উপজভূমি।
তোমার বিকর্ণ ছেদে আমার মুষ্ঠিদন্ড পুঁতে রাখি
প্রতি বারের মত বসন্তগুলি টের পাই ষড়রিপু টানে
আমি কিছু কাগজী ফুল কৃষ্ণচূড়া ও পলাশ বানিয়ে
বসন্তকে ডাক দিই।
তোমার স্রোত ও জোয়ারে
ধরে রাখি বিদ্যুৎ বাতির কেঁপে ওঠা ফুলদান
সিঁদুর মুছে গেলে সমস্ত অবসাদ ও সাদা থানের ভেতর
গুলাল আবির, তবু এক নিষিদ্ধ পল্লী থেকে উঠে আসে
পেঁয়াজ রসুন ও মাংসের বাস, তাকে নির্বাপিত করতে করতে
একদিন তুমি কাঁচা জ্বলে গেলে।
অথবা কত বালিশ ও বিছানার সংস্পর্শ মুছে নিচ্ছে সধবাসিঁদুর--
ঘুমন্ত বালিশে জেগে ওঠে সে সব জাগতিক আকাঙ্ক্ষা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন